এইদিন ওয়েবডেস্ক,নিউইয়র্ক,২৬ আগস্ট : ১৯৮৮ সালে ইরানে প্রায় ৩০ হাজার রাজনৈতিক বন্দীকে নির্বচারে হত্যা করা হয়েছিল । ওই গনহত্যাকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে ইরানের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি(Ayatollah Khomeini) ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির(Ebrahim Raisi) । নিহতরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা,ব্রিটেন , জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন । গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ এবং নিহতদের আত্মীয়স্বজন গত সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে এনিয়ে মামলা দায়ের করেছেন । বিচারক ১৫ নভেম্বর প্রাথমিক শুনানির দিন ধার্য করেছেন বলে জানা গেছে ।
ইরানের ন্যাশনাল কাউন্সিল অব রেজিস্ট্যান্সের (এনসিআরআই) মার্কিন প্রতিনিধি সুনা সামসামি বলেন, ‘১৯৮৮ সালের গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি এক ফতোয়া জারি করে আদেশ দিয়েছিলেন, মুজাহিদিন-ই খালকের (এমইকে) সব সদস্য এবং এ সংগঠনের প্রতি যারা সহানুভূতিশীল ও অনুগত তাদের সকলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে । পরের তিন মাসে মুজাহেদিন-ই খালকের হাজার হাজার সদস্যকে ফাঁসি দেওয়া হয় ।
মামলার অন্যতম আইনজীবী স্টিভেন এম স্নিবাউম বলেন, ‘এই নৃসংশ গনহত্যার আজ পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি ।আশা করি রাইসি সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭ তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সিটিতে গেলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি ব্যক্তিগতভাবে দায়ের করা যাবে ।’ উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের সময় রাইসি তেহরানে একজন ডেপুটি প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং পুরো প্রক্রিয়ার সাথে ঘনিষ্টভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ।।