এইদিন ওয়েবডেস্ক,আলিগড়,০৮ সেপ্টেম্বর : কিশোরী মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছিল একই গ্রামের বাসিন্দা মুন্না, মহসিন, ইমরান ও জিশান নামে চার যুবক । রুখে দাঁড়িয়েছিলেন কিশোরীর বাবা । সেই কারনে অভিযুক্তরা তাঁকে মারধরও করে । এরপর কিশোরী ও তার বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান । কিন্তু পুলিশ উলটে নির্যাতিতার বাবাকেই আসামি করে একটি মামলা রজু করে দেয় বলে অভিযোগ । শেষে ক্ষোভে দুঃখে গ্রাম ছাড়ার ঘোষণা করে বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় গ্রামের দলিত সম্প্রদায়ের পরিবারগুলি । “বাড়ি বিক্রি আছে” বলে বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয় । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আলিগড় জেলার হরদুয়াগঞ্জ এলাকায় ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে । গ্রামেরই এক দলিত কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে মুন্না, মহসিন, ইমরান ও জিশান নামে চার যুবক । জাতিগত কথা বলে অপমান করার পাশাপাশি মেয়েটিকে তারা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে । বাধা দেয় কিশোরীর বাবা । এরপর ওই চার যুবক নির্যাতিতার বাবাকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ ।
জানা গেছে,ঘটনার পর গত মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবা নিকটস্থ থানায় পৌঁছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে । হরদুয়াগঞ্জ পুলিশ নির্যাতিতার অভিযোগে মামলা নথিভুক্ত না করে উলটে মেয়েটির বাবাকে আসামি করে মামলা করে দেয় । এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় । তাঁরা নিজের নিজের বাড়ির দেওয়ালে ‘বাড়ি বিক্রি আছে’ লিখে দিয়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে যাওয়া কথা ঘোষণা করেন ৷
রিপোর্ট অনুযায়ী,এরপরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ । আলিগড় পুলিশ আধিকারিকরা নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় । চুন দিয়ে মুছে দেওয়া হয় ‘বাড়ি বিক্রি আছে’ লেখাগুলি । বুধবার হরদুয়াগঞ্জ পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করতে বাড়িতে যায় । কিন্তু মামলা নথিভুক্ত করার আগে জবানবন্দি রেকর্ড করতে অস্বীকার করে মেয়েটির পরিবার । এই বিষয়ে আলিগড়ের হরদুয়াগঞ্জ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
এই বিষয়ে আলিগড় পুলিশের পক্ষ থেকে টুইটারে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে,’এ ঘটনায় মামলা নথিভুক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদন্তে গিয়েছিলেন । ঘটনাস্থলে শান্ত রয়েছে ।’।