এইদিন ওয়েবডেস্ক,জম্মু-কাশ্মীর,২৬ ডিসেম্বর : দাঙ্গা লাগানোর জন্য হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় মৃত গরু এবং বাছুর ফেলে দিত গরু পাচারকারীরা । শেষ পর্যন্ত মুখতিয়ার, তারিক এবং আরিফ তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ । এর মধ্যে মুখতিয়ার কাশ্মীরের অনন্তনাগের বাসিন্দা এবং আরিফ ও তারিকের বাড়ি জম্মুর রিয়াসি এলাকায়। তারা সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটায় একই কাজ করে । অবশেষে তাদের ধরে ফেলে পুলিশ । পুলিশের হাতে ধরা পড়া এই তিনজন দীর্ঘদিন ধরে গরু চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা গরু পাচারের সময় নিষ্ঠুরভাবে ট্রাকে গরু বোঝাই করত। এই গরু পাচারকারীরা হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে মারা যাওয়া গরুগুলো ফেলে দিত। উদ্দেশ্য হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা লাগানো ।
জানা গেছে, মঙ্গলবারও (২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪) এই তিনজন একই ষড়যন্ত্র চালানোর চেষ্টা করেছিল । তারা নাগরোটার জগতি-রাজপুর সড়কে গরু ফেলে দেয়। মঙ্গলবার সকালেও একই পথে সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছিলেন স্থানীয় কয়েকজন। এসময় তার দুর্গন্ধ পায় । আশপাশের লোকজন কাছে গেলে একটি খাদে একটি গরু ও একটি বাছুর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।কিছুক্ষণের মধ্যে এই খবর আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি হিন্দু সংগঠনের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সবাই। পুলিশ এ খবর পেয়ে স্থানীয় এসএইচও পারভেজ সাজ্জাদ পুলিশ দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
জনগণের ক্ষোভ দেখে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলেন তিনি। লোকজনকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয় । অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ২১৯৫ রেজিস্ট্রেশন নম্বরের একটি ট্রাক চিহ্নিত করা হয় । এর ভিত্তি পুলিশ তদন্ত শুরু করে । ট্রাকের সূত্র ধরে পুলিশ মুখতিয়ার, তারিক এবং আরিফকে গ্রেফতার করে। তাদের সবার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তাদের ট্রাকও আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দুই মাস আগেও এই তিনজন মিলে জগতি এলাকায় একটি মরা গরু ফেলে দিয়েছিল। এরপর বিক্ষুব্ধ হিন্দুরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে। তারা আরও বলে যে মৃত গরু ফেলে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা উসকে দিতে চেয়েছিল ।।