জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,গুসকরা,২৭ জুলাই : শোকের মহরমে মুমূর্ষু মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্দেশ্যে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে নিশ্চিত সাফল্য ছিল হাতের মুঠোয়। হয়তো প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে যেতেও পারত। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালো বৃষ্টি- একবার নয় দু’বার। ফলে প্রত্যাশা পূরণ না হলেও হতাশ হয়নি উদ্যোক্তারা । ‘পবিত্র মহরম’-এর শোক মজলিস উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা ইটাচাঁদা মহরম উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এবং গুসকরা আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলাণ্টারী ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সক্রিয় সহযোগিতায় ইটাচাঁদায় একটি স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার উদ্যোগে শিবির থেকে মোট ৩৮ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। রক্তদাতাদের মধ্যে ৮ জন ছিল মহিলা। এই প্রথমবারের জন্য ২২ জন রক্ত দিতে এগিয়ে আসে। উদ্যোক্তাদের মতে এটা ভাল লক্ষণ। তবে বৃষ্টির জন্য অনেকেই রক্ত দেওয়ার জন্য শিবিরে আসতে না পারায় তাদের মধ্যে হতাশা দেখা যায়। নিয়মের বেড়াজালে পড়ে বেশ কয়েকজন রক্ত দিতে পারেনি। সংগৃহীত রক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন গুসকরা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি নীতু সিংহ, এফবিডিওআই-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে সৌগত গুপ্ত, ‘আপন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’-এর সম্পাদক তথা অধ্যাপক শিশির ঘোষ, মহরম উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে মুজিবর সেখ, বাবলু মল্লিক, সাহেব চৌধুরী, সেখ রাজ সহ আরও অনেকেই।
মুজিবর সেখ বললেন,’গত দু’বছর ধরে আমরা এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে চলেছি। বৃষ্টির জন্য আমাদের প্রত্যাশা পূরণ না হলেও আমরা হতাশ নই। আশাকরি আগামীদিনে আরও বহু মানুষকে পাশে পাব।’ রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সৌগত গুপ্ত বলেন,’বিভিন্ন কারণে চাহিদার তুলনায় ব্লাড ব্যাংকে রক্তের পরিমাণ কম। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের যত শিবির হবে ততই মানুষের উপকার হবে।’ কুসংস্কার ও অযথা ভয় দূর করে তিনি মানুষকে রক্তদান করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।।