এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৪ জুলাই : মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিয়ে স্বরচিত কবিতা পাঠ করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন বিজেপির তারকা নেতা রুদ্রনীল ঘোষ । কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর আজ রবিবার ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার তিন শতাধিক পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজভবনের বাইরে ধর্নায় বসেছে বিজেপি । আক্রান্ত পরিবারগুলির মধ্যে বাঁকুড়া জেলার খাতড়ার দেদুয়া গ্রামে খুন হওয়া বিজেপি কর্মী বঙ্কু মাহাতোর ছেলে সনাতন মাহাত উপস্থিত ছিলেন মঞ্চে । উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী, তাপস রায়, কৌস্তুভ বাগচী, রুদ্রনালী ঘোষ সহ অনেকে ।
ওই ধর্ণা মঞ্চেতে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন রুদ্রনীল । তিনি কবিতার নাম দিয়েছেন “মগের মুলক” । তার পাঠ করা কবিতাটি হল :
‘মগের মুলুক চলছে চলুক চাইছে মহারানী,
সকাল বিকাল মিথ্যা কথার শোনান তিনি বাণী ।
তালিবানি চলছে শাসন, বাসন মাজে পুলিশ
সত্যি বললে মিথ্যে কেসে ফাঁসিয়ে দেবার নালিশ ।
লুট হয়ে যায় গণতন্ত্র পুলিশ পাহারায়,
জেসিবি আর জয়ন্ত সিংরা এ রাজ্য চালায় ।
মহারানী বেজায় খুশি, দাওয়াত-এ-ইসলাম…আহা
কিনতে ভোটার সংখ্যালঘু ইনি ছাড়ান ঠাঁই ।
‘দুর্ভাগা’ কে ঠিক করে দেন রানীর সাধের ববি…ওহ
ভাতার জন্য মুখে কুলপ,শিল্পি-লেখক-কবি ।
আইন কানুন উঠলে চিতায় মহারানীর শান্তি,
হকার বেকার চিল্লে মরুক, হোক না অশান্তি ।
মরুক না নারী-পুরুষ রানীর কানে তুলো,
তবু রানী শুনে রাখুন সবার কথাগুলো ।
আপনি যতই মানুষ মারুন, মারুন গণতন্ত্র
আজ বাংলা জেনে গেছে এ কার ষড়যন্ত্র ।
কার ইশারায় অন্ধ পুলিশ, বন্ধ তাদের চোখ
কার ইশারায় চাইছে পুলিশ চোরেদের জয় হোক?
জেনে গেছে মানুষ কার ইশারায় দুষ্কৃতীরাজ চলে
কার ইশারায় বাংলার মা ভাসছে চোখের জলে ।
কার ইশারায় লুট হয় ভোট,লুট মানুষের প্রাণ
কার ইশারায় অপরাধী শিস দিয়ে গায়ে গান ।
মহারানী,কার ইশারায় ঘটছে এসব, মানুষ গেছে সব জেনে,
গদি থেকে মানুষরানী, তোমায় নামাবে কাল টেনে ।’
এদিন কবিতা পাঠের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্যের বুদ্ধিজীবীদের কার্যত তুলেধুনা করেন রুদ্রনীল ঘোষ । তিনি বলেন,’পুলিশের কানের চামড়া গন্ডারের চামড়ার থেকেও মোটা হয়ে গেছে । সাধারণ মানুষ বলছে মানুষের হয়ে কাজ করুন কিন্তু এ কথা তাদের কানে ঢুকছেনা ।’ পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যে রুদ্রনীল কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের কবিরা, আমাদের রাজ্যের শিল্পীরা, আমাদের রাজ্যের লেখকরা, যারা অন্য রাজ্যে ঘামাচি হলে এরাজ্যে ক্যান্সার হয়েছে বলে দোকান না খোলা থাকলেও বাড়িতে মোমবাতি বানিয়ে মিছিল করতেন । যারা ঘুমিয়ে পড়েছেন তাদের সিরদাড়াকে একটু প্রনাম জানাই ।’।