এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৯ জুলাই : বাড়ির লোকজন তখন ঘুমে আচ্ছন্ন, সেই সময় আচমকা প্রচন্ড শব্দে ঘটল বিস্ফোরন । তার জেরে ভেঙে পড়ল আস্ত মাটির বাড়িটি । দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে জখম হলেন পরিবারের ৩ সদস্য । শুক্রবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বাণেশ্বরপুর গ্রামে । প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বছর পঞ্চান্নর জামরুল মল্লিক, তাঁর স্ত্রী মারজেদা বিবি ও ছেলে লালচাঁদকে মাটি সরিয়ে উদ্ধার করে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় । জামরুল ও লালচাঁদকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হলেও মারজেদা বিবি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে আসে ভাতার থানার পুলিশ । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘরের মধ্যেই বোমা মজুত করা ছিল । সেটা কোনও ভাবে ফেটে গিয়েই এই ঘটনাটি ঘটেছে । বর্তমানে এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ ।
দেখুন ভিডিও :
জামরুল মল্লিক ও তাঁর ছেলে লালচাঁদ কেরলে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন । সপ্তাহ তিনেক আগে তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন । আর এদিনই তাঁদের বাড়িতে ঘটে যায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাটি । কিন্তু জামরুলের বাড়িতে বোমা কোথা থেকে এল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে অবৈধভাবে অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল লালচাঁদ । যদিও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় । তারপর সে কেরলে বাবার কাছে গিয়ে কাজ শুরু করে । দিন কুড়ি আগে বাবা-ছেলে বাড়ি ফেরে । বাড়ি ফেরার পর বৃহস্পতিবার রাতের দিকে পাশের কুলনগর গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে লালচাঁদ ও তাঁর বন্ধুদের বচসা হয়েছিল বলে খবর । তার জেরেই সে বাড়িতে বোমা মজুত করে রেখেছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ । তদন্তের প্রয়োজনে বম্ব স্কোয়াডের সাহায্যও নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
এদিকে খবর পেয়ে এদিন দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে আসে বোম্ব স্কোয়াড । আর কোথাও বোমা মজুত আছে কিনা তাঁরা তল্লাশি করে দেখেন । শেষে ঘটনাস্থল থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বোম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় বলেন, ‘বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । ওই বাড়ির দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।’।