এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ এপ্রিল : মঙ্গলবার দুপুরে জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামের বৈসরণের তৃণভূমিতে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করেছে ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা । হত্যার আগে সন্ত্রাসীরা পর্যটক পুরুষদের কলমা পড়তে বলে । এমনকি প্যান্ট খুলিয়ে খৎনা পরীক্ষা করা হয় । একথা জীবিত মহিলা পর্যটকরাই সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন । কিন্তু সিপিএমের মুখপত্র “গনশক্তি” লিখেছে যে ‘কোন ধর্ম, কোন জাত’ দেখে গুলি চালায়নি সন্ত্রাসীরা । আজ বুধবার সিপিএমের মুখপত্রে প্রকাশিত প্রথম পাতার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে,’প্রাথমিকভাবে রটিয়ে দেওয়া হয়, বেছে বেছে কোন ধর্ম জিজ্ঞাসা করে গুলি চালানো হয়েছে। কিন্তু পরে জানা যায়, এক-দু’জনের পরিচয় জানার পর বেপরোয়াভাবে গুলি চালাতে থাকে সন্ত্রাসবাদীরা । তখন কোন ধর্ম, কোন জাত আলাদা করে আর বিচার হয়নি। যে দু’জন স্থানীয় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁরা সম্ভবত ঘোড়ার মালিক বা উপত্যকার দোকানি।’ শুধু তাইই নয়, পাহেলগামের বৈসরণে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাতেও ঘৃণ্য রাজনীতি করতে দেখা গেছে । ‘রক্তাক্ত স্বাভাবিক কাশ্মীর’ শীর্ষক শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আক্রমণ করা হয়েছে । লেখা হয়েছে,’মোদী-শাহের ফাঁপা বুলি, বেড়েই চলেছে উগ্রপন্থী হামলা’৷

একদিকে পাহেলগামে মারাত্মক সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে সিপিএমের মুখপত্রের এই প্রকার ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ প্রতিবেদন, অন্যদিকে পাহেলগামের মুসলিমদের ‘শোকের নামে উল্লাসের চিত্র’ প্রকাশ্যে এসেছে । মোমবাতি মিছিলের ভিডিও-এর স্ক্রিন শর্ট থেকে কয়েকজনের মোমবাতি হাতে হাসিমুখের ছবি শেয়ার করে আরএসএসের মুখপত্র পাঞ্চজন্যের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে,’আমি আপনাদের বলেছিলাম এই লোকেরা ভণ্ড! এরা হলেন পাহেলগামের মুসলিমরা যারা সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল বের করছিল । এই সব মানুষ মোমবাতি মিছিলে হাসছে,
সন্ত্রাসী হামলা এবং ৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় তারা কতটা দুঃখিত তা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।দেশের চোখে, নিরপরাধদের হত্যা করা হয়েছিল, কিন্তু তাদের চোখে, কাফেরদের হত্যা করা হয়েছিল!’
প্রসঙ্গত,জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ও ৩৫(এ) ধারা অপসারণের পর অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছিল কাশ্মীর । প্রতিবছর বাড়ছিল পর্যটকের সংখ্যা । এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক কর্মসংস্থান হয়েছে । কিন্তু কাশ্মীরের মুসলিমদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বন্ধ হয়নি । পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পাল পাহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার “প্রতিশোধ” নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি লিখেছেন,’ধর্ম পরিচয় জেনে বেছে বেছে গুলি চালানো হলো। জঙ্গিরা সেনার পোশাকে এসেছিল। জঙ্গিরা এসে প্রথমে পর্যটকদের নাম এবং পরিচয় জানতে চান। এমনকি আধার কার্ড দেখতে চায়। তারপরে পরিচয় নিশ্চিত করেই তাঁদের উপরে গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। কাশ্মীরের জঙ্গি হামলায় মৃত বেড়ে ২৭। জঙ্গিরা আর পাকিস্তান ভুলে গিয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র মোদি। হিসেব হবে, হবেই। মৃত পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।’।