এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট,১৮ এপ্রিল : এক গৃহবধূ ও তার শিশুকন্যা রহস্যজনকভাবে আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুর গ্রামে । সাধনা মাঝি (২০) নামে ওই বধূ ও তাঁর মেয়ে রিনিতা মাঝি (৩)কে বুধবার রাতে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজন । কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাদের মৃত্যু হয় । মৃতার বাপের বাড়ির সন্দেহ যে রিনিতা ও তার মেয়েকে পুড়িয়ে মেরে ফেলেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন । যদিও এনিয়ে এখনো পর্যন্ত তারা মঙ্গলকোট থানায় নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানা গেছে । বৃহস্পতিবার পুলিশ মৃতদেহদুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে ।
জানা গেছে,বীরভূম জেলার নানুর থানার বঙ্গছত্র গ্রামের বাসিন্দা গদাই মাঝির বড় মেয়ে সাধনা । মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা রাঘব মাঝির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার । চার বছর আগে বিয়ে হয় হয় তাদের । রাঘব হায়দ্রাবাদে কাজ করেন। বছর দুয়েকের একটি শিশুকন্যা রয়েছে সাধনা-রাঘবের ।
মৃতা সাধনার মা এদিন মল্লিকা মাঝির অভিযোগ, ‘আমার মেয়েকে মিথ্যা সন্দেহ করত জামাই রাঘব । এই কারনে মেয়ের উপর অত্যাচার করত । আমাদের সন্দেহ যে আমার মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে দিয়েছে রাঘব ও তার পরিবারের লোকজন ।’ মৃতার বোন মৌমিতা মাঝি দাবি করেছেন,’হাসপাতালে মৃত্যুর আগে আমার দিদি আমাদের বাবাকে জামাইবাবুই তাদের গায়ে দাহ্য তরল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে । এদিকে আমার দিদি শ্বশুরবাড়িতে আগুনে পুড়ে গেল অথচ দিদির জায়েরা কেউ হাসপাতলে কেউ আসেনি, এতেই আমাদের সন্দেহ যে দিদিকে পুড়িতে মারা হয়েছে ।
জানা গেছে, রাঘব মাঝিরা তিন ভাই । একই বাড়িতে তারা থাকেন । দিন কয়েক আগে ছুটিতে বাড়ি আসেন রাঘব । বুধবার রাত ৯ টা নাগাদ সাধনা মাঝি ও তাঁর মেয়ে রিনিতাকে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে রাঘব ও তার বাড়ির লোকজন । রাত দেড়টা নাগাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মা ও মেয়ের ।।