• Blog
  • Home
  • Privacy Policy
Eidin-Bengali News Portal
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
Eidin-Bengali News Portal
No Result
View All Result

এমএ পাশ মেয়ের প্রেরণায় একসাথে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন স্কুলছুট হওয়া মা ও ছেলে

Eidin by Eidin
February 27, 2023
in রাজ্যের খবর
এমএ পাশ মেয়ের প্রেরণায় একসাথে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন স্কুলছুট হওয়া মা ও ছেলে
মা আয়েশা বেগম ও ছেলে শেখ পারভেজ আলম ।
7
SHARES
96
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare on Whatsapp

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৭ ফেব্রুয়ারী : মেয়ে ফিরদৌসী উচ্চ শিক্ষত। সে এম-এ পাশ করেছে। কিন্তু তাঁর মা ও দাদা মাধ্যমিকের গণ্ডী পারহতে পারে নি বলে ফিরদৌসীর আক্ষেপের অন্ত ছিল না ।তাই সে লেখাপড়া শেখার ব্যাপারে নিজের মাকে ও দাদাকে লাগাতার অনুপ্রাণিত করে যায়।সেই অনুপ্রেরনায় উদ্ধুব্ধ হয়ে পুণরায় লেখাপড়া শুরু করে ফিরদৌসির মা আয়েশা বেগম ও দাদা শেখ পারভেজ আলম।এবার মা ও ছেলে মিলে একসাথেই দিচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সফল ভাবে পরীক্ষায় পাশ করার ব্যাপারেও তারা দৃঢ়প্রত্যয়ী। শিক্ষিত হবার জন্য মা ও ছেলের এই প্রচেষ্টাকে পরীক্ষকরাও কুর্নিশ জানিয়েছেন।
আয়েশা বেগমের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার ঘাটশিলা গ্রামে।তাঁর স্বামী শেখ সাইফুল আলম পেশায় কৃষিজীবী।নিম্নবিত্ত পরিবারের এই দম্পতির পুত্র পারভেজ আলন ছয় বছর আগে লেখাপড়ায় ইতি টেনেছিল।কিন্তু পারভেজের বোন ফিরদৌসী খাতুন সেই পথে হাাঁটে নি। পারিবারিক আর্থিক প্রতিকুলতার মধ্যেও সে লেখাপড়া চালিয়ে যায় ।ইতিমধ্যেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম-এ পাশ করে ফেলেছে ফিরদৌসী । সে এখন ভালো চাকরির জোগাড়ের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। নিজে উচ্চ শিক্ষিত হতে পারলেও আইসিডিএস কর্মী মা ও দাদার কম শিক্ষিত হয়ে থাকাটা ব্যাথিত করতো ফিরদৌসীকে।তাই সে তার মা ও দাদাকে পুণরায় লেখাপড়ার আঙিনায় ফিরিয়ে আনার জন্য অনুপ্রাণিত করেযায়।তাতে কাজও হয়। ফিরদৌসীর মা ও দাদা দু’জনেই পুণরায় লেখাপড়া শুরুর ব্যাপারে মনস্থির করে নিয়ে ঘাটশিলা সিদ্দিকীয়া সিনিয়ার হাই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যান । এমনকি এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার জন্যেও তারা পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দেন।স্ত্রী ও ছেলে একসাথে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মেয়ের মতই খুশি হন বাবা সাইফুল আলম। এতে মা ও ছেলের মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার আগ্রহ আরো বেড়ে গিয়েছে ।
জেলার মেমারি হাই মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে বসে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন আয়েশা বেগম ও তাঁর ছেলে পারভেজ। আয়েশা জানান,তাঁর শৈশব জীবন খুব একটা সুখের ছিল না । ছোট বয়স থেকেই তিনি তাঁর বাবাকে কাছে পান নি। মামার বাড়িতেই কষ্টের মধ্যে বড় হন। প্রায় ২৫ বছর আগে সেখানকার স্কুলে সপ্তম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ওঠার তিন মাস পর থেকে তাঁকে লেখাপড়ায় ইতি টানতে হয় । তার পর বিয়ে হয়ে গেলে সংসার সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । ছেলে ও মেয়েকে বড় করে তুলে তাদের লেখাপড়া শেখানোর দায়িত্ত্বও তাঁকে কাঁধে নিতে হয়। তারই মধ্যে ২০১০ সাল বর্ধমানের একটি আইসিডিএস কেন্দ্রে কাজে যোগ দেন।আয়েশার কথায় ,“সংসার ও আইসিডিএস কেন্দ্রের কাজ সামলেও যে লেখাপড়া করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া যায় এই অনুপ্রেরণা তিনি তাঁর উচ্চ শিখিত মেয়ের কাছ থেকেই পান।মেয়ের অনুপ্রেরনাতেই সংসার সামলে রাতে পড়াশুনা করতেন। আর এবার সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ও সমালোচনাকে দূরে সয়িয়ে রেখে ছেলের সঙ্গে তিনিও মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন । এরপর একই ভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ারও ইচ্ছা রয়েছে বলে আয়েশা বেগম জানিয়েছেন।
আয়েশার মত তাঁর ছেলে পারভেজ আলমও দাবি
করেছেন,তিনি তাঁর বোন ও বাবার অনুপ্রেরণাতেই
আবার লেখাপড়া জীবনে ফিরে এসেছেন। পারভেজ বলেন,“আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না।অনটনই ছিল আমাদের পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী। এই অবস্থায় শুধুই মনে হত কোন কাজে যোগ দিয়ে আমাকে উপার্জন করতে হবে । নয়তো আমাদের সংসারটা ভেসে যাবে। তাই ছয় বছর আগে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেই আমি লেখাপড়ায় ইতি টানি ।
তার পর মুম্বাইয়ে চলে গিয়ে অলংকার তৈরির প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলাম ।কিন্তু লেখাপড়া ছাড়তে হওয়ায় মনে আক্ষেপ রয়েই গিয়েছিল । তারই মধ্যে বোন ফিরদৌসী লাগাতার পড়াশুনা চালিয়ে গিয়ে এম-এ পাশ করে ফেলে। তারপর থেকে বোনই আমাকে ও মাকে অনুপ্রাণিত করে চলে পুণরায় লেখাপড়া শুরুর জন্য ।বোনের অনুপ্রেরণাতেই আমি ও আমার মা পুণরার লেখাপড়া শুরু করে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি । আয়েশা এবং তাঁর ছেলে পারভেজ দু’জনেই জানিয়েছেন,এখন অবধি হওয়া সবকটি বিষয়ের পরীক্ষা তাঁরা ভালোই দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা বলেন,এখন আমরা মনেকরি শিক্ষা লাভের কোন বয়স নেই ,শিক্ষার বিকল্পও কিছু নেই ।’
পরীক্ষা কেন্দ্র মেমারি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক
তোরাব আলী বলেন,’প্রকৃত অর্থেই আয়েশা বেগম ও তাঁর ছেলে পারভেজ আলম সামাজে একটা
দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন।মা ও ছেলে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। কোন কারণে যাঁরা অনেক আগে স্কুল ছুট হয়েছেন বা লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেন নি তারাও এই মা ও ছেলেকে দেখে পুণরায় লেখাপড়ার জগৎতে ফিরে আসতে পারেন। এমনটা হলে সমাজ উন্নত হবে।’।

Previous Post

উমেশ পাল হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত আরবাজ এনকাউন্টারে নিহত

Next Post

“আরাকান রোহিঙ্গাদের মশা- পোকামাকড়ের মত মারো”-নির্দেশ আরএসও নেতার

Next Post
“আরাকান রোহিঙ্গাদের মশা- পোকামাকড়ের মত মারো”-নির্দেশ আরএসও নেতার

"আরাকান রোহিঙ্গাদের মশা- পোকামাকড়ের মত মারো"-নির্দেশ আরএসও নেতার

No Result
View All Result

Recent Posts

  • ময়মনসিংহে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে ও জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৭
  • ছক্কা মেরে ক্যামেরাম্যানকে আহত করার পর জড়িয়ে ধরলেন হার্দিক পান্ডিয়া 
  • কলকাতা থেকে জেলা, ভোটের মুখে ফের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক 
  • দলের “চৌর্যবৃত্তি” নিয়ে ফের সরব হলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ; ভোটের ঠিক মুখেই চরম অস্বস্তিতে শাসকদল 
  • এক বছরে সর্বোচ্চ রান করা শীর্ষ পাঁচ ভারতীয় খেলোয়াড় : শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন বিরাত কোহলি
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.