এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,১১ মার্চ : নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী পলাতক এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ উল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) । দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে ওই কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে লুকিয়ে থাকতে সক্ষম হয় । আত্মগোপনের সময়কালের মধ্যে সে ওমরা ভিসায় সৌদি আরবে গিয়েছিল । এরপর দেশে ফিরে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা এবং মসজিদে ইমামতি শুরু করে এমদাদুল হক । তারই মাঝে সে নাশকতার পরিকল্পনা করতে থাকে । কিন্তু বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ ২০২৩) ফেনী সদরের সার্কিট হাউজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে এটিইউ ।
জানা যায়,এমদাদুল হক ওরফে এমদাদ উল্লাহের বিরুদ্ধে বরিশালের কোতোয়ালী থানায় ২০০৭ সালে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল । দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্ন, বিস্ফোরকদ্রব্য সংগ্রহ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়াসহ একাধিক ধারা যুক্ত ছিল ওই মামলায় । এটিইউ’র পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, এমদাদুল হক ও তার ১২ সহযোগী তখন বোমা বানিয়ে বরিশাল শহরে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করে ।
এদিকে মামলা দায়েরের পরই আত্মগোপনে চলে যায় এমদাদুল । সে ওমরা ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত লুকিয়ে থাকে । ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে বেআইনিভাবে বসবাসের দায়ে জেল খাটে ওই সন্ত্রাসবাদী । তারপর ২০১৪ সালে দেশে ফিরে এসে পুলিশের নজর এড়াতে বারবার নিজের অবস্থান বদল করছিল এমদাদুল । তারই মধ্যে সে মাদ্রাসায় শিক্ষকতা ও ইমামতি করে সন্ত্রাসবাদ বিস্তারসহ রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন এটিইউ’র সহকারী পুলিশ সুপার ওয়াহিদা পারভীন ।।