দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৮ মার্চ : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে বেপরোয়া গতির পিক আপ ভ্যানের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক প্রাতভ্রমণকারীর । মৃতের নাম রামেশ্বর চক্রবর্তী ওরফে রামু (৫৫) । সোমবার সকালে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে ভাতার অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রের কাছে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কপথে । দূর্ঘটনার পর তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় রেফার করে দেওয়া হয় । কিন্তু কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে শক্তিগড়ের কাছে তাঁর মৃত্যু হয় । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায় ।
জানা গেছে,প্রতিদিনের মত এদিন ভোরেও তিন বন্ধুর সঙ্গে প্রাতভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন রামুবাবু । তাঁরা ফেরার পথে দূর্ঘটনাটি ঘটে । রামুবাবুর সঙ্গীরা জানিয়েছেন,রামুবাবু আগে আগে যাচ্ছিলেন । পিছনে ছিলেন তাঁরা দু’জন । তাঁরা দমকল অফিসের কাছাকাছি আসতেই বর্ধমান থেকে ভাতারমুখী একটি মুরগি বোঝাই পিক আপ ভ্যান বেপরোয়া গতিতে তাঁদের গা ঘেঁষে চলে যায় । তাঁরা দু’জনে কোনও রকমে সরে গিয়ে প্রাণ বাঁচান । রামুবাবু পিছন ফিরে তাঁদের দেখতে গেলে মুরগির গাড়ির খাঁচার ধাতব পাত রামুবাবুর মাথায় সজোরে লাগে । গাড়িটি পালিয়ে যায় । রামুবাবুর মুখ,নাক ও চোখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে । তিনি অচেতন অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে । এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি । তাঁদের অনুমান,চালক মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারনেই এই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে ।
জানা গেছে,নিহত রামেশ্বর চক্রবর্তীর বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা বিধবা মা,স্ত্রী ও এক ছেলে । অভাবের সংসার ৷ ভাতার বাজারের সুকান্তপল্লি এলাকায় সরকারি জায়গায় বসবাস করতেন তিনি । সম্প্রতি রবীন্দ্রপল্লি এলাকায় নতুন বাড়িতে উঠে গিয়েছিলে । আর তার কয়েক দিনের মধ্যেই দূর্ঘটনায় তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু হল ।।