এইদিন ওয়েবডেস্ক,এথেন্স,২৬ অক্টোবর : আজ গ্রীক সমাজের সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির মধ্যে একটি হল অপরাধ প্রবণতা । সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এর উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে । দীর্ঘসূত্রিত ঘোষণা এবং পরিকল্পনা সত্ত্বেও আমরা মাঝে মাঝে নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রকের কাছ থেকে শুনতে পাই, পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া দরকার। কয়েক লক্ষ মুসলিম অভিবাসী গ্রীসে অবৈধভাবে বসবাস করে এবং রিপোর্ট অনুযায়ী, অপরাধ বৃদ্ধির জন্য মূলত তারাই দায়ী এবং তারাই অধিকাংশ অপরাধের অপরাধী ।
গ্রিসের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রালয় এবং হেলেনিক রিপাবলিকের কাছ থেকে অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী ১৯৯৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অপরাধ সংঘটনকারীদের মধ্যে সিংহভাগই মুসলিম অভিবাসী । গ্রীসে ‘গুরুতর’ অপরাধে মুসলিম অভিবাসীদের অংশগ্রহণ এবং ২০২২ সালে বিভিন্ন অপরাধের জন্য গ্রেপ্তারকৃত অভিবাসীদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা সম্পর্কে বেশ আকর্ষণীয় তথ্য পাওয়া গেছে । সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে অভিবাসীরা গ্রীসের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ । প্রোটো থেমার উদ্ধৃত সরকারী তথ্য অনুসারে, গ্রীক কারাগারে বন্দীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশেরও বেশি মুসলিম অভিবাসী ।
তবে আকর্ষণীয় পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে ২০১৩ সালে । চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী গ্রীসের পাবলিক অর্ডার এবং নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী নিকোস ডেন্ডিয়াস অভিবাসীদের অপরাধমূলকতার বিষয়ে সংসদ সদস্য ইলিয়াস পানাগিওতারুর একটি প্রশ্নের জবাবে, হেলেনিক পুলিশের জননিরাপত্তা অধিদপ্তরের তথ্য উদ্ধৃত করেছেন । ১৯৯৮ সালে গ্রীসে যখন পরিসংখ্যান শুরু হয়েছিল,তখন থেকে ২০১২ পর্যন্ত অপরাধ সম্পর্কীয় পরিসংখ্যান তিনি তুলে ধরেন ।
নিকোস ডেন্ডিয়াসের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯৮ সালে অভিবাসী অপরাধীদের অপরাধের সংখ্যা ছিল ৬,০৯৪ । ২০১০ সাল থেকে সেই সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় । তখন এটি ২৭,০১৬ এ পৌঁছেছিল । ২০১২ সালে এই সংখ্যা কিছুটা নেমে ২০,০৬৫ হয় । কিন্তু তিনি জানান যে পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিগত ১৫ বছরে অভিবাসী অপরাধীদের তিনগুণ বৃদ্ধি হয়েছে । আর এই বৃদ্ধির পিছনে দায়ি মূলত আলবেনিয়ান মুসলিমরা । তবে সরকারি রেকর্ডের বাইরে গ্রীসে অপরাধের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করেন সেদেশের অভিজ্ঞমহল ।
যদিও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানিদের দ্রুত বৃদ্ধি আরও চিত্তাকর্ষক । ১৯৯৮ সালে ৫৭ জন অপরাধীর থেকে ২০০৯ সালে ২,০০০ ছাড়িয়ে যায় । ২০১০ সালে সেই সংখ্যা হয় ২,৬১২ । বর্তমানে গ্রীসে শাসন ক্ষমতায় রয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি (কেকেই) ।।