শ্যামসুন্দর ঘোষ,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),০৪ জানুয়ারী : জায়গা নিয়ে বিবাদের জেরে নিজের ভাইপোকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রৌঢ় কাকার বিরুদ্ধে ৷ এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানার দেনুর পঞ্চায়েতের মৌসা গ্রামে । মৃতের নাম হাসিবুল শেখ (২৭) । তাকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছে মৃতের পরিবারের আরো ৪ সদস্য । আহত সোহেল মল্লিক,সলমন মল্লিক, কবির মল্লিক ও হাসিনা শেখ বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ এই ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে । পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আক্কেল শেখ ও সরিফুল শেখ । তারা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে । শুক্রবার গভীর রাতে দেনুর পঞ্চায়েতের পুটশুড়ির মাঠ থেকে তাদের ধরে ফেলে পুলিশ৷ আজ শনিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয় । পাশাপাশি মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি পুলিশ ।
স্থানীয় পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাসিবুল শেখের নিজের কাকা হয় ধৃত আক্কেল শেখ । হাসিবুল কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সম্প্রতি হাসিবুল শেখের নাম সরকারি আবাস যোজনা তালিকায় ওঠে । সেই ঘর করার জন্য জায়গা নিয়ে তার কাকা আক্কেল শেখের সঙ্গে তাদের বিবাদ চলছিল । এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ঝামেলাও হয়েছিল । তার জের ধরে শুক্রবার একজন শিশুকে মারধরের অজুহাতে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
মৃতের আত্মীয়া নাসরিন শেখের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে আক্কেল শেখ ছাড়াও আকবর, কামু, রিয়াজ, কামুর ছেলে আলমগীর ও জাহাঙ্গীর, মোহিত, শহিদুল, খোকন তোতন, আমিনা, আজমা,আসমাসহ বেশ কয়েকজন লাঠিসোঁটা, বগি, টাঙি,কাটারি ও বঁটি হাতে হাসিবুল শেখের বাড়িতে হামলা চালায় । তারা হাসিবুলকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করে । বাঁচাতে গিয়ে আহত হয় আরও ৪ জন । তাদের বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ।
জানা গেছে,হামলার পর হাসিবুলসহ আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মন্তেশ্বর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন । কিন্তু চিকিৎসক হাসিবুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । বাকি আহতদের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় । এ নিয়ে মন্তেশ্বর থানায় একা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের বাবা । অভিযোগ পেতেই রাতের মূল অভিযুক্ত সহ দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ঘটনাটি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।।