এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট,১৪ আগস্ট : পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অসীম দাসকে খুনের ঘটনার ইতিমধ্যে মাষ্টারমাইন্ড শেখ রাজুকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি । তাকে জেরা করে এবার হদিশ মিললো এক সুপারি কিলারের । বীরভূম জেলার বোলপুর থানার ঘিদহ গ্রামের বাসিন্দা শেখ বাবুল (২৫) ওরফে শেখ খোকন নামে ওই দুষ্কৃতিকে সিআইডি শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে বলে জানা গেছে । শনিবার ধৃত শেখ রাজু ও শেখ বাবুলকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তুলে তাদের ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে সিআইডি । বিচারক ১০ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন ।
গত ১২ জুলাই সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কাসেমনগর বাজার থেকে বাইকে চড়ে বাড়ি ফেরার সময় সিউর বাসস্ট্যান্ডের কাছে অসীম দাসকে আটকে গুলি করে খুন করে দুস্কৃতীরা । এই খুনের ঘটনায় সিট গঠন করে প্রথমে তদন্ত শুরু করলেও শেষপর্যন্ত সিআইডিকে তদন্তভার দেয় রাজ্য প্রশাসন ।
এই খুনের মামলায় এযাবৎ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হল । ১৪ জুলাই পুলিশ গ্রেফতার করে সাবুল শেখ ও সামু শেখ নামে দুই দুষ্কৃতিকে । তারপর মঙ্গলকোটের কোটালঘোষ গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল শেখকে আউশগ্রামের ফতেপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি । বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লির ভজনপুরা এলাকা থেকে তৃণমূল নেতাকে খুনের মাষ্টারমাইন্ড তথা বালি মাফিয়া রাজু শেখকে গ্রেফতার করা । রাজুর বাড়ি বীরভূম জেলার নানুর থানা এলাকার সিদাই গ্রামে । তবে সে বিগত ৪ বছর ধরে মঙ্গলকোটের মল্লিকপুর গ্রামেই থাকছিল । তাকে গ্রেফতারের পর দিল্লির আদালতে তুলে বিচারকের অনুমতি ক্রমে এরাজ্যে আনা হয় ।
এরপর রাজুকে জেরা করে সুপারি কিলার শেখ বাবুলের হদিশ পায় সিআইডি । শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয় । বাবুল পেশায় কাঠমিস্ত্রি । কিন্তু তার কাঠের কাজের আড়ালে বেআইনি অস্ত্র ব্যবসাও করত বলে সন্দেহ সিআইডির । সিআইডির তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন অসীম দাসকে খুনের জন্য শেখ বাবুলকে ৫ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়েছিল শেখ রাজু । এই খুনের ঘটনায় আর কার সাহায্য নেওয়া হয়েছিল তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে সি আই ডি ।।