নিজস্ব প্রতিনিধি,কালনা,৩০ জানুয়ারী : ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ ঝাল লাগে । লঙ্কার ভিতর যেমন রাক্ষসদের অসুবিধা হোতো ঠিক তেমনিই লঙ্কারাজের ভিতর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুবিধা হয় । এইভাবেই পূর্ব বর্ধমানের মাঝেরগ্রামের এক রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র।এই মঞ্চ থেকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেননও আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর জামানত জব্দেরও ডাক দেন । শনিবার কৃষক সুরক্ষা গ্রামসভা নামের এই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য ও জেলাস্তরের নেতৃত্বরা ।
মন্তেশ্বরের মাঝেরগ্রামের ঝাপানতলা এলাকায় কয়েকদিন আগেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতৃত্ব একটি রাজনৈতিক জনসভা করে।ঠিক সেখানেই শণিবার দুপুরে পাল্টা জনসভা করলেন বিজেপি নেতৃত্ব।আর সেই সভামঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বর্ধমানের দুই মন্ত্রীকে তুলোধনা করে ছাড়েন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন ও মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র।বাম নেতৃত্বকেও এইদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নরোত্তমবাবু।এই বিষয়ে তিনি বলেন,‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দশ বছরের কর্মকান্ড মানুষ দেখেছে।কিছু করার থাকলে তো কেউ তো বাঁধা দেয়নি।তাহলে কেন করেননি।’আরো একধাপ এগিয়ে তিনি বলেন,‘৩৪ বছরে কমিউনিষ্টরা কিছুই করেনি।যে বাংলা একসময় সারা দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও ধার্মিক দিক থেকে দিশা দেখাতো।সেই বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীকে জয়শ্রী রাম বলেছেন তো ঝাল লেগে যায়।এর কারণ উনি তুষ্টিকরণের রাজনীতি করেন । উনি চান একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ভোট যাতে কেটে না যায়।এইজন্য উনি অপমান মনে করেন। লঙ্কার ভিতর যেমন রাক্ষসদের অসুবিধা হোতো ঠিক তেমনিই লঙ্কারাজের ভিতর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসুবিধা হয়।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে ভ্যাকসিন নিয়েও মমতাকে এইদিন একহাত নিয়ে তিনি বলেন,‘এখানে যখন ভ্যাকসিন আসে তখন মমতা দিদি বলেন এটা বিজেপির ভ্যাকসিন।আমি তখন বলেছিলাম এটা বিজেপির নয় এটা করোনার ভ্যাকসিন। অখিলেশ যাদবের জন্য ২০১৭-য় বিজেপির ভ্যাকসিন লেগেছিল।যার মেয়াদ পাঁচ বছর।এখন ২০২১ সালে তৃণমূলের লাগবে।যার মেয়াদ পাঁচ বছর ধরে চলবে।’বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন বর্ধমানের দুই মন্ত্রীর বিষয়ে বিষোদগার করে বলেন,‘এখানকার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ পশুদের মন্ত্রী হয়ে যেভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, আমরা সকলে একসঙ্গে দুই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ও স্বপন দেবনাথের বিধানসভায় জামানত জব্দ করবো।’আরো একধাপ এগিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন,‘টিএমসি এখন ডুবন্ত নৌকা।এখানে দুটো লোকই বেঁচে আছে ভাইপো ও পিসী।পিসী ভাইপোর সরকার আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। আর বাঁচবে না।আগেই বলেছি ২০১৯-এ হাফ,২০২১-এ সাফ।এখন থেকেই টিএমসির সব বড়ো নেতারা বিজেপিতে চলে আসছে।হেমতাবাদে আমাদের বিধায়ককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে টাঙিয়ে দেয়।সারা দেশে এইরকম ঘটনা কোথাও ঘটেনা।বিজেপির ১৩৪ জন কার্যকর্তাকে টিএমসি হত্যা করেছে।রাজনৈতিক হত্যা এই ধরনের ভ্রষ্টাচারের উত্তর বিধানসভা নির্বাচনে দেবেন। সেই অপেক্ষাতেই মানুষ রয়েছেন।’এই সভার আগেই মেমারি থানার সাতগাছিয়া অঞ্চলের কাঠালিয়া গ্রামেসাতটি আদিবাসী পরিবারের থেকে মুষ্টিভিক্ষা করে জনসংযোগ করেন, অরবিন্দ মেনন, নরোত্তম মিশ্র সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।এরপর বেগুনিয়ার একটি কর্মীসভায় অংশগ্রহণ করেন।।