এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইন্দোর(মধ্যপ্রদেশ),১৪ জানুয়ারী : ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট নয়, এই দিনে ভারত ‘প্রকৃত স্বাধীন’ হয়েছিল বলে মনে করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত । ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারী, অযোধ্যায় নির্মিত রাম মন্দিরে রামের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ সম্পন্ন হয়েছিল। মোহন ভাগবত বলেছেন যে, তাই ২২শে জানুয়ারীকে ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসেবে উদযাপন করা উচিত কারণ এই দিনটি ভারতের ‘প্রকৃত স্বাধীনতার’ প্রতীক।
সোমবার (১৩ জানুয়ারী) মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এই কথা বলেন। তিনি ২২ জানুয়ারীর দিনটিকে ‘প্রতিষ্ঠ দ্বাদশী’ হিসেবে উদযাপনের কথা বলেন। এই সময় তাঁর সাথে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রায় এবং প্রাক্তন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনও উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানটি ইন্দোরের একটি সামাজিক সংগঠন ‘শ্রী অহিল্যাৎসব সমিতি’ দ্বারা আয়োজিত হয়েছিল। প্রতি বছর বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পুরষ্কার দেওয়া হয়। এবার শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রায় ‘জাতীয় দেবী অহল্যা পুরস্কার’ গ্রহণ করেন । এই সময় মোহন ভাগবত মঞ্চে বক্তৃতা দিতে আসেন।
আরএসএস প্রধান বলেন,’অযোধ্যায় রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবসটি প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী হিসেবে উদযাপন করা উচিত, কারণ এই দিনটি ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতার প্রতীক… শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরচক্র (বিদেশী আক্রমণ) মোকাবেলা করা ভারত এই দিনে তার প্রকৃত পরিচয় এবং ঐক্য জানতে পেরেছে। স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে ।’
মোহন ভাগবত বলেন যে রাম মন্দির আন্দোলন কারও বিরোধিতা করার জন্য শুরু হয়নি, বরং ‘ভারতের ‘আত্মা’ জাগ্রত করার জন্য’ শুরু হয়েছিল। ভাগবত বলেন, যখন রাম মন্দিরের প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হয়েছিল, তখন দেশে কোনও ধরণের বিরোধ ছিল না, যা দেখায় যে এই আন্দোলন ঐক্য এবং সাংস্কৃতিক গর্বের প্রতীক ছিল।আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত আরও বলেছেন,’আমাদের ৫০০০ বছরের ঐতিহ্য কী? যেটা শুরু হয়েছিল ভগবান রাম, ভগবান কৃষ্ণ এবং ভগবান শিব থেকে। সেটাই আমাদের নিজস্ব। আমাদের নিজেদের জাগরণের জন্য আন্দোলন হয়েছিল। সভা-সমাবেশে, কলেজে ছাত্ররা প্রশ্ন করত, মানুষের জীবন-জীবিকার চিন্তা বাদ দিয়ে কেন মন্দির বানালেন, আমি বলতাম, এটা ৮০-এর দশক ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করে, ইসরায়েল এবং জাপান আমাদের সাথে শুরু করে এবং তারা অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছিল আমরা সারাক্ষণ সমাজতন্ত্রের কথা বলতাম এবং সমস্ত স্লোগান দিতাম?… জীবিকা নির্বাহের পথ ভারতও শ্রী রাম মন্দিরের মধ্য দিয়ে যায়, তাই এই পুরো আন্দোলনটি ছিল ভারতের আত্মজাগরণের জন্য ।’।