এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৫ ডিসেম্বর : ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে দেশের শাসন ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে ‘লাভ জিহাদ’ কার্যত মহামারীর আকার ধারন করেছে । এবারে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে এমনই এক ‘লাভ জিহাদ’ -এর চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । গৃহশিক্ষকতা করতে গিয়ে হিন্দু মেয়েকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছে মহম্মদ রব মিঁয়া নামে একজন মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে । মনিষা পাল নামে ওই হিন্দু মেয়েকে টিউশন পড়াতে গিয়ে সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে । পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে ধর্মান্তরিত করে নিকাহ করেছে । জানা গেছে, মনিষার মা’কে “দিদি” পাতিয়েছিল মহম্মদ রব মিঁয়া। আর মনিষার মাও পাতানো ভাইকে খুব স্নেহ করতেন ৷ এদিকে দিদির এই সরলতার সুযোগ নিয়ে তার মেয়েকেই সে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে ।
জানা গেছে,বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার চিকনি গ্রামের শ্যামল চন্দ্র পালের দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় মনিষা। মেয়েটি মমিনুন্নেসা সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী । ছেলে মেয়ের পড়াশোনা সুবিধার্থে শ্যামলবাবু সপরিবারে ময়মনসিংহে শিব বাড়ী এলাকায় বসবাস করেন । ময়মনসিংহ জেলার ধৌবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের বিলখান্দা গ্রামের আবদুর রেজ্জাক ছেলে মহম্মদ রব মিঁয়া শ্যামলবাবুর দুই মেয়েকে টিউশন পড়াত । রব মিয়া মনীষার মাকে দিদি বলে ডাকতো, মনীষার মাও রবকে ছোট ভাই এর মতো স্নেহ করত এবং বিশ্বাস করত । আর সেই সূযোগ কাজে লাগিয়ে
মনিষাকে সে প্রেমের জালে ফাঁসায় । বিষয়টি আঁচ করে মহম্মদ রব মিঁয়ার কাছে বড় মেয়ের টিউশন পড়া বন্ধ করে দেন শ্যামলবাবু । তবে ছোট মনিষার ভাই তার কাছে টিউশন পড়ত ।
একদিন হঠাৎ বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় মনিষা। পরে পরিবারের লোকজন জানতে পারে যে সে ময়মনসিংহের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গৃহশিক্ষক মহম্মদ রব মিঁয়ার সাথে গিয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছে এবং প্রেমিককে নিকাহ করেছে । ধর্মান্তরিত হয়ে বর্তমান নাম রেখেছে রোদেলা জান্নাত। মহম্মদ রব মিয়া বলেছে,’মনিষার সাথে ‘গত ৭-৮ বছর ধরে আমার পরিচয়। পরিচয় হওয়ার পর থেকেই অনেকবার আমাদের ইসলামের বিষয়ে জানতে চায় সে। এভাবেই আস্তে আস্তে আমার দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সে ইসলামকে ভালোবেসেই মুলত হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করছে। দোয়া করবেন আমরা দুজন যেন সারাজীবন একসাথে থাকতে পারি ও ইসলামিক বিধান মানতে পারি ।’ অন্যদিকে সদ্য ধর্মান্তরিত রোদেলা জান্নাত বলেছে,’ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার বিষয়ে কোন প্রকার প্ররোচনা করা হয় নাই। আমি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে অন্যের বিনা প্ররোচনায় ধর্মান্তরিত হয়ে নিকাহ করেছি । রব মিয়াকে আমি ভালোবেসে নিকাহ করেছি ।’
জানা গেছে,মনিষার বাবা শ্যামল চন্দ্র পাল পেশায় দর্জি । মা গৃহবধূ । হতদরিদ্র পরিবার । সেলাইয়ের কাজ করে অতিকষ্টে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা ও সংসারের খরচ চালাতেন তিনি । অল্প আয়ের মানুষদের সাথে ময়মনসিংহে শিব বাড়ী এলাকার একটা বাড়ির ছাদে কম ভাড়ায় অনেক ভাড়াটিয়াদের সাথে থাকেন । মেয়ে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ার পর থেকে মুষড়ে পড়েছেন শ্যামলবাবু ও তার স্ত্রী ।।

