জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, মালদা,০২ এপ্রিল : অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দুর্ঘটনার মাত্রা কমাতে পারলেও তাকে পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেনা। অর্থাৎ দুর্ঘটনা ঘটবেই। কিন্তু চেষ্টা করলে দুর্ঘটনা জনিত ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কমানো যেতে পারে। তাইতো যেকোনো দুর্ঘটনার পরবর্তী সময়টা সব ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য দ্রুত শুরু করতে হয় উদ্ধারকাজ।
রেলের দুর্ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রেলের আধিকারিক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীরা কতটা প্রস্তুত সেটা সরেজমিনে দেখার জন্য সম্প্রতি পূর্ব রেলের মালদা বিভাগের পক্ষ থেকে মালদা রেলের নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র ডিভিশনাল সেফটি অফিসার শ্রী বি.বি.পি কুশওয়াহারের নেতৃত্বে এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) সহযোগিতায় মালদা টাউন রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ডে একটি পূর্ণাঙ্গ মক ড্রিলের আয়োজন করা হয়। মালদা ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়াদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন আরপিএফ সহ রেলের চিকিৎসকরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মালদা ডিভিশনের ডিআরএম বিকাশ চৌবে, সিনিয়র ডিএমই এস.কে. তিওয়ারি, ডিএমই (পাওয়ার) সিদ্ধার্থ শঙ্কর সাহা সহ অন্যান্য শাখার আধিকারিকরা।
ড্রিলের অংশ হিসাবে মালদা স্টেশনের ইয়ার্ডের কাছে একটি ট্রেনের দুটি বগি কৃত্রিমভাবে লাইনচ্যুত করা হয়। উদ্ধার কাজে যোগদানকারী কর্মী ও অফিসারদের প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ার সময় পরীক্ষা করার জন্য দুর্ঘটনার খবর অতি দ্রুততার সঙ্গে মালদা রেলের উদ্ধারকারী দলকে জানানো হয়। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহের জন্য মালদা টাউন স্টেশন ইয়ার্ডে তদন্ত বুথ এবং হেল্প ডেস্কের আয়োজন করা হয়। আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া ও ‘গোল্ডেন আওয়ার’ অর্থাৎ দুর্ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়। এই মক ড্রিল দেখতে স্থানীয় মানুষদের ভিড় দেখা যায়। যদিও তাদের কাছাকাছি আসতে দেওয়া হয়নি।
মালদা ডিভিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ধরণের মক ড্রিল একটা রুটিন কাজ। উদ্ধার অভিযানে রেলওয়ের কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য মাঝে মাঝে এটির আয়োজন করা হয়ে থাকে।।