মানুষ মিথ্যে বলে
নিজের প্রয়োজনে মিথ্যে বলে
নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য মিথ্যে বলে
কখনও কখনও অপরকে ছোট করার জন্যও
মিথ্যে বলে।
কিন্তু মিথ্যে তারা বলে!
একটা মিথ্যেকে ঢাকতে
আর একটা মিথ্যে তাকে বলতে হয়
ধীরে ধীরে মিথ্যের পাহাড় তৈরী হয়।
ধরা পড়ার ভয়ে,
সম্পর্ক ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে,
মিথ্যে তাকে বলতে হয়।
নিজের ইমেজকে ধরে রাখার জন্য,
নিজের দুর্বলতাকে প্রকাশ না করার জন্য,
নিজের দারিদ্র্যকে ঢাকা দেওয়ার জন্য,
মিথ্যে তাকে বলতে হয় ।
মঞ্চে ভাষন দিতে গেলে
মিথ্যে দিয়ে শুরু করতে হয়,
দোকানের জিনিস বিক্রি করতে গেলে
দোকানদারকে মিথ্যে বলতে হয়,
ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেবার সময়
অনেক সময় বাবা-মাকে মিথ্যে বলতে হয়,
অনলাইনে বন্ধুত্ব করতে গেলে
মিথ্যে বলতে হয়,
বন্ধুত্ব ভেঙ্গে যাবার পরও
মিথ্যে বলতে হয়,
হারিয়ে যাবার ভয়ে মিথ্যে বলতে হয়,
নতুন কিছু পাওয়ার আশায় মিথ্যে বলতে হয়।
মানুষ যখন একটা অন্ধকার
গোলকধাঁধায় আটকে যায়
বেরোবার পথ থাকে না
তখন মিথ্যের পথ তৈরী করে তাকে
বেরিয়ে আসতে হয়।
মিথ্যে জন্ম, মিথ্যে পড়াশোনা ,
মিথ্যে ভালোবাসা, মিথ্যে বিশ্বাস ,
মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, মিথ্যে প্রেম
সব আজকাল কেমন যেন
মিথ্যে হয়ে গেছে ।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত
কতগুলো মিথ্যের সঙ্গে
ওঠাবসা।
প্রতিপদে পদে
মিথ্যে দিয়ে মিথ্যে ঢাকতে হয় ।
মিথ্যের নীচে সত্য চাপা পড়ে গেছে ।
এত মিথ্যেকে ভেদ করে
পারেনা সত্য উঠে আসতে।
সত্য আস্তে আস্তে তলিয়ে যায় ,
মিথ্যেরা ঘুরে বেড়ায় আমাদের চারপাশে
বিভিন্ন রূপে।
কখনও কখনও আমরা মুখোশধারী মিথ্যেকে
সত্য ভেবে ভুল করি ।
মিথ্যে রক্ত বীজের ঝাড় নির্মূল করা যায় না
সত্য নেই কোথাও সত্য নেই
সত্য শুধু মৃত্যু
এটাই নির্মম সত্য।।