এইদিন ওয়েবডেস্ক,কালনা(পূর্ব বর্ধমান),২৭ সেপ্টেম্বর : মলোকাই চ্যানেল জয়ের লক্ষ্যে আমেরিকায় পাড়ি দিতে চলেছেন বাংলার জলকন্যা সায়নী দাস।মলোকাই চ্যানেল কর্তৃপক্ষ সায়নীকে জলে নামার সম্মতি দিয়ে মেল করেছে গত শনিবার রাতে। সায়নীর নতুন সফর ঘিরে মুখিয়ে রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনাবাসী তথা গোটা বাংলার মানুষ ।
২০১৭ সালে ইংলিশ চ্যানেল,২০১৮ তে রটনেষ্ট ও ২০১৯-এ ক্যাটলিনার জলে নেমে ভারত তথা বাংলা ও বাঙালির মুখ উজ্বল করেন সায়নী।তারপর থেকে সায়নীর লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মলোকাই চ্যানেল। গতবছর থেকেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে তানিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারনে অনুমতি মেলেনি।অবশেষে সেই ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে ২৩ বছরের এই বঙ্গতনয়ার।তার জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি।এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এই কোনও মহিলা সাঁতারু মলোকাই চ্যানেলের জল ছুঁতে চলেছেন ।
মলোকাই চ্যানেল সম্পর্কে অনেকেই হয়তো পরিচিত নন।আদপে এই জলপথের দৈর্ঘ্য ২৬ মাইল।গভীরতা? কোথাও দুই হাজার ফুট তো কোথাও আড়াই হাজার ফুট। পাহাড়প্রমান গভীর এই জলপথে রয়েছে ভয়াল ভয়ঙ্কর হাঙরের আধিক্যও।যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ। এই চ্যানেল অতিক্রম করতে ন্যুনতম ১৮-২০ ঘন্টার সময় লাগে।স্বাভাবিকভাবেই লক্ষ্য পূরণের অর্থ অসাধ্যসাধন।
কালনা শহরের বারুইপাড়ার বাড়ি সায়নী দাসের।সায়নীর বাবা তথা প্রশিক্ষক রাধেশ্যাম দাস জানান,অন্যান্য চ্যানেলের থেকে এই মলোকাইয়ের জলে নামা বেশ চ্যালেঞ্জের।আমার বিশ্বাস সায়নী সফল হবেই। জয়ের লক্ষ্যেই কয়েক বছর ধরেই পাড়ার পুকুরে ও কালনার ভাগীরথী নদীতে কঠোর অনুশীলন করে চলেছে।একের পর এক সাফল্য পেলেও সায়নীর এক সময় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আর্থিক সংকট।পেশায় প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক বাবা রাধেশ্যাম দাস মনের জোরে মেয়ের সাফল্যের পথ অনেকটাই প্রসস্ত করেছে।কখনও বাড়ি বন্ধক দিয়েছেন, কখনও অন্য কোথাও ঋণ করেছিলেন রাধাশ্যামবাবু। এখনও আর্থিক সমস্যার মধ্যে থেকেও তিনি হাল ছাড়তে রাজি নন। সায়নীও জয়ের বিষয়ে প্রত্যয়ী। তার কথায়,” আমার বিশ্বাস, বাংলার মুখ উজ্জ্বল করবোই ।’।