এইদিন ওয়েবডেস্ক,সুন্দরবন,১২ সেপ্টেম্বর : দিন দশেক আগে নদীর চরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর ব্লকের ফুলবাড়ি এলাকার এক মৎস্যজীবী গৃহবধূ পূর্ণিমা দলুই(২৫) । তারপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি । স্থানীয় বাসিন্দা ও সাগর থানার পুলিশ মিলে তার সন্ধানে অনেক খোঁজাখুঁজি করে । কিন্তু বধূর কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি । সন্দেহ করা হচ্ছিল যে জলে কুমীর এবং ডাঙ্গায় বাঘ বা অজগর সাপের শিকার বনে গেছেন তিনি । ফলে তার বাড়ি ফেরার আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছিল পরিবার । কিন্তু বৃহস্পতিবার অবিশ্বাস্যভাবে বধূকে নদীর চড়ের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে । বর্তমান স্থানীয় হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে । তবে বধূ কিভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তা এখনো জানা যায়নি ।
জানা গেছে,সাগর ব্লকের ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মৎস্যজীবী গৃহবধূ পূর্ণিমা দলুই(২৫) গত ১ সেপ্টেম্বর নদীর চরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন । তারপর হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হয়ে যান । প্রথমে পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন । পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পুলিশ বাহিনীও অনেক খোঁজাখুঁজি করে । কিন্তু ওই গৃহবধুর কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি ৷ ফলে গ্রামবাসীরা ভেবে নিয়েছিলেন যে ওই গৃহবধূ হয় কুমির অথবা বাঘের খপ্পড়ে পড়েছেন । পরিবারের লোকজন তার ফিরে আসার আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছিল । কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ওই গৃহবধূকে অবিশ্বাস্যভাবে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ।
জানা গেছে,বৃহস্পতিবার বেলায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে গঙ্গাসাগরের পথতোলা এলাকার নদীর পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ওই গৃহবধূকে পড়ে থাকতে দেখেন দুজন মৎস্যজীবী । তারা দ্রুত সাগর থানায় খবর দেন । পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রুদ্রনগর গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করে । প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে বিগত ১০ দিন ধরে অনাহারে রয়েছেন ওই গৃহবধূ৷ হিংস্র জন্তু-জানোয়ারদের সঙ্গে কার্যত লুকোচুরি খেলে তিনি নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। তবে ওই গৃহবধূ কিভাবে নদীর চর থেকে জঙ্গলের মধ্যে গেলেন সেটা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে । বধূর সঙ্গে ঠিক কি ঘটেছিল এটা একমাত্র তিনিই বলতে পারেন । ফলে সকলের তাঁর সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে সকলে ।।