এইদিন ওয়েবডেস্ক,খানওয়াল(পাকিস্থান),১৩ ফেব্রুয়ারী : ধর্মনিন্দার(Blasphemy) অভিযোগ তুলে ফের এক সংখ্যালঘুকে পিটিয়ে,ইঁট-পাথর ছুড়ে নৃসংভাবে খুন করল পাকিস্থানের সংখ্যাগুরু মুসলিমরা । শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্থানের পাঞ্জাব প্রদেশের খানওয়াল (Khanewal) জেলার তুলাম্বা(Tulamba) এলাকায় । সোশ্যাল মিডিয়ার শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে স্থানীয় একটি মসজিদের ভিতরে ও বাইরে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে । হঠাৎ মসজিদের ভিতর থেকে একজনকে মারতে মারতে বাইরে বের করে আনা হচ্ছে । তারপর বাইরে আসতেই ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে থান ইঁট ও পাথর ছুড়ে তাঁকে মেরে ফেলা হচ্ছে । কিছু উন্মত্ত যুবককে জুতো খুলে মৃতদেহে আঘাত করতেও দেখা গেছে । দু’একজনকে মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার কথাও বলতে শোনা যাচ্ছে । পরে ওই ব্যক্তির মৃতদেহটি একটি গাছে ঝুলিয়ে দেয় হিংস্র জনতা । ঘটনার বীভৎসতা দেখে কার্যত স্তম্ভিত নেটাগরিকরা ।
জানা গেছে,খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের উপরেই হামলা করে দেয় জমায়েতকারী মানুষ । হামলায় কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হয়েছে বলে খবর । পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্থানের পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার । তবে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি ।
এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করতে শুরু করে দিয়েছেন পাকিস্থানের মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ । মুর্তাজ দার(Murtaz Dar) নামে এক ব্যক্তি ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘আরেকদিন আরেকটা লিঞ্চিং। খানওয়ালের তুলাম্বাতে “কুরআন অবমাননার” অভিযোগে এক ব্যক্তিকে পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়েছে ।’ সলমন মাসুদ (Salmon Masood) লিখেছেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় ব্লাসফেমির অভিযোগে পাঞ্জাবের খানেওয়াল জেলার তুলাম্বাতে জনতা এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করেছে । তাঁর বিরুদ্ধে কুরআনের পাতা পোড়ানোর অভিযোগ আনা হয় । ব্লাসফেমির অভিযোগে জনতার সহিংসতার ঘটনা দেশজুড়ে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ।’।