এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৭ মার্চ : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মার্কিন মন্তব্য করার পরে বিদেশ মন্ত্রক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অফ মিশন গ্লোরিয়া বারবেনাকে (Gloria Berbena)তলব করেছে । বৈঠকটি প্রায় ৪০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল, সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন কূটনীতিকের এটাই দীর্ঘতম তলব। গ্লোরিয়া বারবেনা বেরিয়ে আসার পর তার শারীরিক ভাষা মালদ্বীপ এবং কানাডিয়ান দূতের কথা মনে করিয়ে দেয়। গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি মার্কিন ডেপুটি চিফ অফ মিশন ।
ওয়াশিংটন সরকার বলেছে যে তারা মদ নীতি কেলেঙ্কারির ক্ষেত্রে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দ্বারা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারকে “ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ” করছে। মঙ্গলবার, মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র বলেছেন,’আমরা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের জন্য একটি ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং সময়োপযোগী আইনি প্রক্রিয়াকে উত্সাহিত করি।’
পরে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কোনো দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাগ গলানোর অভিযোগ তুলে তীব্র নিন্দা করে । বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কূটনীতিতে, রাষ্ট্রগুলি অন্যের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে বলে আশা করা হয়। এই দায়িত্ব ভিন দেশের গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আরও বেশি। এটি অন্যথায় অস্বাস্থ্যকর নজির স্থাপন করতে পারে । মন্ত্রক উল্লেখ করেছে যে ভারতের আইনি প্রক্রিয়াগুলি একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে যা উদ্দেশ্যমূলক এবং সময়োপযোগী ফলাফলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটির উপর সন্দেহ পোষণ করা অযৌক্তিক ।
এর আগে বার্লিনে বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্রের মন্তব্যের বিরুদ্ধে “কঠোর প্রতিবাদ” দাখিল করতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশনকে তলব করেছিল । তার আগে মালদ্বীপ এবং কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক ।।