প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ অক্টোবর : রাজ্যের সরকার এখন পৌছে যাচ্ছে আম জনতার দুয়ারে। তাই একই আঙ্গিকে নিজের বিধানসভা এলাকার বাসিন্দারের বিজয়ার শুভেচ্ছা ও প্রণাম জানানোর পন্থা নিলেন রাজ্যেরই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।সেই মতো রবিবার লালবাতি লাগানো গাড়ি ছেড়ে সাইকেলে চেপে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার পাড়ায় পাড়ায় পৌছে গেলেন স্বপন বাবু । বয়স্কদের তিনি জানালেন শ্রদ্ধা ও প্রণাম ।ছোটদের জানালেন শুভেচ্ছা ।এমনকি সবাইকে মিষ্টি মুখও করালেন । বিজয়ার শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে মন্ত্রী ডেঙ্গু ও করোনা নিয়ে সচেতনতা প্রচারও চালিয়ে যান ।বিলি করেন মাস্ক ও স্যানিটাইজার । রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ একেবারে দুয়ারে হাজির হয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে যাওয়ায় আপ্লুত পূর্বস্থলীর বাসিন্দারা ।
বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শেষ হতেই গোটা বাংলা জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের পালা। তাই নিজের বিধানসভা এলাকার বাসিন্দারে শুভেচ্ছা জানানোর কাজে পিছিয়ে থাকতে চাননি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।এদিন হ্যান্ড মাইক কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে সাইকেল চালিয়ে মন্ত্রী স্বপনবাবু পূর্বস্থলী ১ ব্লকের হেমাতপুর বারোয়ারিতলা,শ্রীরামপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় পৌছে যান ।সেখানকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলিত হন ।সবাইকে বিজয়ার শুভেচ্ছা ,প্রণাম জানানোর পাশাপাশি সবার পরিবারের খোঁজ খবরও নেন । সাইকেলের সামনে খাঁচায় থাকা লাড্ডু মিষ্টি বের করে তিনি তাঁদের সবার হাতে তুলে দেন।
মন্ত্রী এদিন একেবারে দুয়ারে এসে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে যাওয়ায় যারপরনাই আপ্লুত
পূর্বস্থলীর বৃদ্ধা ধর্মবালা সিংহ,পরিতোষ বিশ্বাস প্রমুখরা । তাঁরা বলেন ,“ স্বপন দেবনাথ সারা বছরই নিজের বিধানসভা এলাকার প্রতিটি মানুষের খোঁজ খবর নেন ।এদিনও বিজয়ার শুভেচ্ছা,ভালোবাসা ও প্রণাম জানাতে তিনি সকলের দুয়ারে উপস্থিত হন।
রাজ্যের একজন মন্ত্রী হয়েও স্বপনবাবু এদিন
যে ভাবে এলাকার মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাজির হয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা, প্রণাম জানালেন তা তাঁদের অভিভূত করেছে বলো মন্তব্য করেন বৃদ্ধা ধর্মবালা সিংহ।
মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানান,একসময় পাঁয়ে হেঁটে মানুষের দরবারে তিনি যেতেন ।এখন বয়স হওয়ায় আর পায়ে হেঁটে বেশীদূর আর যাতায়াত করতে পারে না। সেইকারণে ব্যাটারি চালিত একটি সাইকেলও কিনেছেন।সেই সাইকেলে চড়েই মানুষের কাছে তিনি পৌঁছে যান ।স্বপনবাবু জানালেন ,“এদিন গুরুজনদের বিজয়ার প্রণাম ও ছোটদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । সবার সঙ্গে একটু গল্প গুজবও করেছেন । পাশাপাশি করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা প্রচারও চালিয়েছেন।শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানানো কাজটা লক্ষ্মীপুজো,কালি পুজো,জগদ্ধাত্রী ও রাস উৎসব পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন বলে স্বপন দেবনাথ জানিয়েদেন ।’।