এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৫ ডিসেম্বর : জামাত ইসলামি ও হেফাজতে ইসলাম নামে বাংলাদেশের দুটি উগ্র ইসলামি দলকে চরম ভারত বিরোধী বলে মনে করা হয় । বাংলাদেশের এহেন দুই বিতর্কিত গোষ্ঠীর সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর যোগাযোগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আসলে,মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া “মহাত্মা” উপাধি বিজেপি নাকি মিটিয়ে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস । এবং এর বিরোধিতায় তারা রাস্তায় নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে । এই বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় কলকাতার আইসিসিআর-এ সাংবাদিকরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওরা আগে চাঁচলে ছাত্রনেতা কেন রবি ঠাকুরের ছবি পোড়ালো, ওটা নিয়ে ময়দানে নামুক । ওতো জামিনো পেয়ে গেছে। দুদিন ধরে গ্রেফতার করেনি । আমরা যখন আইসিসিআর থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত বিক্ষোভ করি, আমাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি । তারপরে সেই রাতে আই প্যাকের পরামর্শে সাসপেন্ড করা হয় । যদি তৃণমূলের পর যে কেউ থাকে, সে যে স্তরেই থাকুক না কেন, সে যদি ধর্ষণ করে বা গণধর্ষণও করে তাহলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারবে না । সাসপেন্ড করার পরেরদিন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে ।’
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘তাই এই জামাতি তৃণমূলকে বলব,বরঞ্চ আপনারা দুটো মিছিল করুন । একটা চাঁচলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি পোড়ালো কেন, জবাব চাই জবাব দাও । আর একটা, আজকের বাংলাদেশের জামাতি মৌলবাদীরা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ফার্ম হাউস পুড়িয়ে দিল কেন, আর জামাত ও হেফাজত মিলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম মুছতে চাইছে কেন, তার বিরুদ্ধে একটা মিছিল করুক । কারণ ওনার সঙ্গে তো জামাতের সম্পর্ক ভালো । উনি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে দিয়ে মধ্যস্থতা করতে পারেন । সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সঙ্গে ওদের যোগাযোগও আছে ।’।

