এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাবুল,২১ ডিসেম্বর : আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরাফ গনির আমলে ব্যাপক দূর্নীতি প্রকাশ্যে আনলো মার্কিন সংবাদ মাধ্যম দ্য ইনসাইডার মিডিয়া । প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে ওই ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অর্থ ও স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগ এনেছে । বলা হয়েছে, উজবেকিস্তানের শুল্ক বিভাগের ৪৫৭ পৃষ্ঠার নথি অনুসারে ২০১৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মে পর্যন্ত, আফগানিস্তান থেকে মোট পাচারের পরিমাণ ছিল ৮২৪ মিলিয়ন ডলার । এমনকি আশরাফ গনির কার্যালয় সব জেনেশুনেও প্রতিরোধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি করা হয়েছে ।
জানা গেছে,দেশ থেকে অর্থ ও সম্পদ পাচারের মামলা একজন আফগান কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত হয় এবং ইনসাইডারকে সরবরাহ করা হয় । ওই আফগান কর্মকর্তা বিষয়টি আশরাফ গনির নজরেও এনেছিলেন । এমনকি মার্কিন দূতাবাস এবং ইউরোপীয় কূটনীতিকদেরও তিনি সেই নথি সরবরাহ করেছিলেন । কিন্তু দূর্নীতি বন্ধ হওয়া দুরের কথা উলটে তাঁকে খুনের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল বলে অভিযোগ তদন্তকারী আফগান কর্মকর্তার । প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে,তাঁকে হুমকি ফোন কলগুলি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের ভিতর থেকে হয়েছিল।
উজবেকিস্তানের শুল্ক দপ্তরের নথিতে দেখা যায় যে এই অর্থের একটি বড় অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তরিত হয়েছিল। তবে এই টাকা কার এবং কীভাবে চোরাকারবারীরা তা পেয়েছে তা স্পষ্ট নয় ।নথিগুলিতে দেখা গেছে, আফগান সংসদের প্রাক্তন ডেপুটি মির্জা মোহাম্মদ কাটওয়াজি গোয়েন্দা, সীমান্ত এবং বন্দর কর্মকর্তাদের একটি নেটওয়ার্কের সহায়তায় চোরাচালান চক্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন । নথিতে বালখের প্রাক্তন গভর্নর আত্তা মোহাম্মদ নূরকে চোরাকারবারিদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে ।
এর আগে আশরাফ ঘানি দেশ ছাড়ার পর গুজব রটেছিল যে ১৬৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ কোষাগার থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন । বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন আশরাফ গনি । সেখানে একটি পাঁচতারা হোটেলে একটি বিলাসবহুল সদর দপ্তর খুলেছেন তিনি ।।