এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,১৩ আগস্ট : কোটা আন্দোলন আদপে যে শেখ হাসিনার পতনের ষড়যন্ত্র ছিল, এটা আজ দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে গেছে । আমেরিকা,চীন আর বাংলাদেশের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জামায়াত-ই- ইসলামির (জেআই) মিলিত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আজ দেশ ছাড়া হাসিনা । আর হাসিনা দেশ ছাড়তেই বাংলাদেশের ইসলামি জঙ্গি সংগঠনগুলির সাম্প্রদায়িক চেহারা প্রকাশ্যে এসে গেছে । সশস্ত্র জঙ্গিরা হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি হামলা চালিয়ে খুন,ধর্ষণ, অপহরণ,লুটপাট,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে । পাশাপাশি পাকিস্তানের মত কট্টরপন্থী ইসলামি রাষ্ট্র বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বিএনপি এবং জামায়াত-ই-ইসলামির (জেআই) । তারই প্রথম ধাপে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) একদল মাদ্রাসা ছাত্র জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে নবী ইব্রাহিমের নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে ।
রিপোর্ট অনুযায়ী,তারা ২০২০ সালে নির্মিত ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের নেমপ্লেট ভাংচুর করে। এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে এবং ‘জাতির জনক’ এর নামে নামকরণ করা হয়েছিল। মাদ্রাসার ছাত্ররা মুজিবুর রহমানের নাম মুছে তার জায়গায় ‘নবী ইব্রাহিম’ লিখে দেয় । যেমন, এক্সপ্রেসওয়ের নতুন নাম ‘জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) এক্সপ্রেসওয়ে’। এটি নিছক প্রতীকী ক্রিয়াকলাপ নয়, বরঞ্চ এর চেয়েও বেশি কিছু । কারন বারতামানের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, জামায়াতে ইসলামী ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশকে বিভক্ত করতে চাইছে । গত ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত বিরোধী পোস্টের বন্যা বইছে। ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে একটি বিষয় পরিষ্কার- জামাতের মাধ্যমে, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) উত্তর-পূর্ব ভারত বা ‘সেভেন সিস্টারস’কে একটি নতুন লক্ষ্য বানিয়েছে । এতে বলা হয়েছে যে প্রস্তাবিত বাংলাস্তানে সমগ্র বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের একটি বড় অংশ, বিহারের কিশানগঞ্জ, কাটিহার, নেপালের ঝাপা, মায়ানমারের রাখাইন ও আরাকান অঞ্চল, আন্দামানের কিছু অংশ এবং আসামের কিছু অংশ, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুরকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠী ।।