বিশ্ব ব্রহ্মান্ড নিত্য পরিবর্তনশীল।এই পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের মানসিক অবস্থার ও পরিবর্তন ঘটে।মাঝে মধ্যে মনে হয় সত্যি আমরা কেউ ঠিকঠাক বেঁচে নেই। আবার কেউ হয়তো পুরোপুরি মরে ও যাই নি। তবু মাঝে মাঝে এসে যায় অসময়। তবুও আমরা উপলব্ধি করতে পারি জীবনের নানা অনুভূতির বৈচিত্র্য।
ভোর চারটে, বাতাসে শীতের পরশ। চারিদিকে অন্ধকার সরিয়ে হাল্কা আলোর আভাস। রাত্রির নিস্তব্ধতা ভেঙে পৃথিবীর অঙ্গিনায় শুরু হতে চলেছে কর্ম কোলাহল। পাখ – পাখালির পাখায় ফিরে এসেছে চঞ্চলতা। শুধু আমি যেন নিষ্কর্মা শুয়ে আছি রোগ সজ্জায়। নেই কোন তাড়া, জীবন ঘড়িতে নেই ঢং ঢং শব্দ। কিছুক্ষন পর দেখলাম দুটো চড়ুই জানালায় শুরু করেছে নৃত্য।ওরা যেনো আমাকে জানাতে এসেছে প্রভাতী শুভেচ্ছা।
একতলায় ঝুপ করে শব্দ, সাথে সাইকেলের বেল বাজতেই বুঝলাম খবরের কাগজ ও দুধে এসে গেল। নিজের তলায় সবাই এখনো ঘুমের দেশে। আমি একাই জেগে বাস্তবে। আজ অনুভূতিগুলো বেশ প্রখর। মাথার মধ্যে ভিড় জমাচ্ছে নানা পুরনো স্মৃতি। স্মৃতির নকশীকাঁথাটা শীতকাতুরে শরীরে জড়িয়ে নিলাম। আর পাড়ি দিলাম শৈশবের দিনগুলো থেকে সেই চেনা পথগুলোতে যেখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে অাছে আমাদের বসন্তের গল্পগুলো।
সবার জীবনে বুঝি বসন্তের একটা গল্প থাকে। হিমেল হেমন্তে বসন্তের গল্প কেমন খাপছাড়া লাগছে। তবুও পড়তে শুরু করলাম সবটা। পড়া বলতে রোমন্থন করা। দেখলাম মনের কোণে মেঘ জমলো আবার বৃষ্টিও হলো কয়েক দফা। হঠাৎ দেখি মন রাজ্যে ঋতু চক্রের পরিক্রমণ সম্পূর্ণ হয়ে, আবার এসে গেছি বসন্তে। বেশ ভালো লাগছে।আজ শরীরটা বেশ সতেজ। ভালোলাগা গুলো এসে জমছে আমার চারিপাশে রং বেরঙের আবির মেখে। দোল মঞ্চের ধারে ওই কৃষ্ণচূড়া সেজে উঠেছে আগুন সাজে। মায়ের আদর মাখা ডাকে সাড়া দিতেই স্বপ্ন ভঙ্গ হলো।।