এইদিন বিনোদন ডেস্ক,০৬ ডিসেম্বর : ৩৩ বছর বয়সী মার্সেলা আলকাজার রদ্রিগেজ একজন বিখ্যাত মেক্সিকান অভিনেত্রী। তিনি পয়লা ডিসেম্বর মারা গেছেন । মৃত্যুর কারণটি এমন ছিল যে এটি দ্রুত বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে । অ্যামাজনিয়ান ব্যাঙের বিষ অভিনেত্রীর মৃত্যুর কারণ বলে জানা গেছে । তবে তিনি আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে এই বিষ পান করেননি। তাহলে কেন ব্যাঙের বিষ পান করলেন অভিনেত্রী?
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ‘অ্যামাজনিয়ান জায়ান্ট মাঙ্কি ফ্রগ’ প্রজাতির ব্যাঙকে বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত ব্যাঙের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর বিষকে ‘কম্বো’ও বলা হয়। যারা এই ব্যাঙটিকে চিনেন তারা এটিকে দেখার সাথে সাথে এটি থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন। এটি অনেক দেশে নিষিদ্ধ, কিন্তু অনেক জায়গায় এটি অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে,অভিনেত্রী মার্সেলা আলকাজার রদ্রিগেজ যৌবন পুনরুদ্ধার এবং শরীরের সক্ষমতা বাড়ানোর সাথে সম্পর্কিত একটি আধ্যাত্মিক প্রোগ্রামে কয়েক দিন ধরে অংশ নিচ্ছিলেন। এ সময় তাকে ব্যাঙের বিষ ‘কম্বো’ পান করানো হয়। এই প্রোগ্রামে, এই বিষ ঐতিহ্যগতভাবে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে ব্যবহৃত হয়, যেখানে লোকেরা বিশ্বাস করে যে এর পরে শরীরের সক্ষমতা বাড়ে।
দ্য মেট্রোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্যাম্বো’ দেওয়ার পরপরই মার্সেলা আলকাজার বমি ও ডায়রিয়া শুরু করেন। বমি এবং ডায়রিয়া এই থেরাপির অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। আর এর মাধ্যমে শরীর নিজের ভেতরের ময়লা দূর করে। এমন পরিস্থিতিতে যখন অভিনেত্রীর বমি ও ডায়রিয়া হয়েছিল, তখন প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল যে অভিনেত্রীর শরীর স্বাভাবিকভাবেই প্রতিক্রিয়া করছে এবং এতে কোনও ভুল নেই। যে কারণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি অভিনেত্রীকে।
কিন্তু বলা হয়, কয়েক ঘণ্টা পর মার্সেলা আলকাজারের এক বন্ধু তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তার অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোর দেন। এর পর চিকিৎসায় রাজি হন মার্সেলা। তাকে স্থানীয় রেডক্রস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে এই ঘটনায় দায়ি ব্যক্তি জেসুস কস্টলি, যিনি মেক্সিকোর বিভিন্ন অংশে এই ধরণের অনুষ্ঠান করে থাকেন, অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর চম্পট দিয়েছে ৷।