নীহারিকা মুখার্জ্জী,মন্তেশ্বর(পূর্ব বর্ধমান),১৬ আগস্ট : গত ৯ ই আগস্ট থেকে নেহরু যুব কেন্দ্রের উদ্যোগে সমগ্র দেশের প্রতিটি জেলাতে ‘আজাদী কি অমৃত মহোৎসব’ কার্যক্রমের অন্তর্গত ‘মেরা মিট্টি মেরা দেশ’ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ শে আগস্ট পর্যন্ত। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ২৩ টি ব্লকের ২১৫ টি পঞ্চায়েতের প্রতিটিতে ৭৫ টি করে বৃক্ষরোপণ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক পঞ্চায়েত থেকে মাটি সংগ্রহ করে দিল্লিতে রাষ্ট্রীয় স্মারক গঠন করার জন্য পাঠানো হবে।
দেশের জন্য সেনা বাহিনীতে নিজের সেবা উৎসর্গ করেছেন মন্তেশ্বর ব্লকের ছয় জন বীর সেনা জওয়ান। এরা হলেন সর্বশ্রী হেমন্ত কুমার গুপ্ত, অনুপ গুপ্ত, দিলীপ দত্ত, এ এম রায়, আশীষ কুমার মাঝি ও জ্যোতিপ্রিয় ভট্টাচার্য। ১৬ ই আগস্ট পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কানপুর সুভাষ-বিবেক সেবা সমিতির সহযোগিতায় ‘মেরা মিট্টি মেরা দেশ’ কার্যক্রমের মাধ্যমে এই ছয়জন বীর সেনা জওয়ানকে সম্মানিত করা হয়। পাশাপাশি দিল্লী নিয়ে যাওয়ার জন্য মন্তেশ্বর ব্লকের ৭ টি ও মেমরি ব্লকের ৫ টি পঞ্চায়েত থেকে মাটি সংগ্রহ করে তুলে দেওয়া হয় বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এস.এস.আলুওয়ালিয়ার হাতে।
দেবীপুর হাইস্কুলের মাঠে বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের শুভ সূচনা করেন বর্ধমান-দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। জানা যাচ্ছে এখানে ৭৫ টির বেশি বৃক্ষরোপণ করে ‘অমৃত বনসৃজন’ করা হবে। উপস্থিত ছিলেন প্রধান শিক্ষক নির্মল মন্ডল, সৈকত পাঁজা, অর্ণব বন্ধু, রাজীব মুখার্জ্জী সহ আরও অনেক বিশিষ্টজনেরা।
এদিনের কার্যক্রমের মুখ্য অতিথি ছিলেন সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। তিনি নেহরু যুব কেন্দ্রের দেশভক্তি মূলক কার্যক্রমের ভূয়সী প্রসংসা করেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে তিনি অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন এবং উপস্থিত সকলকে ‘পঞ্চপ্রাণ’ শপথ বাক্য পাঠ করান।
স্বাগত ভাষণ দেন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা যুব আধিকারিক অন্বেষা ভট্টাচার্য। তিনি এই দেশ ভক্তিমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। নেহরু যুব কেন্দ্রের পূর্ব বর্ধমান জেলার এপিএ সুজন ঠাকুর উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানান। এরপর দেশভক্তিমূলক স্লোগান দিতে দিতে সকলে স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের মুর্তিতে মাল্যদান করেন।
বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা দেশ ভক্তিমূলক সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। স্থানীয় যুবক যুবতীরা উৎসাহের সঙ্গে এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। সমবেত জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে। এনওয়াইভি ভলেন্টার্স ও ক্লাবের সদস্যদের সক্রিয় সহযোগিতায় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।।