দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৩ নভেম্বর : সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির টোকেন বিলিতে হয়রানির অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে একাধিকবার পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের কৃষকরা । এবারে একাধিক দাবি জানিয়ে ভাতারের বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দিল কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির পূর্ব বর্ধমান জেলা শাখা । মঙ্গলবার সংগঠনের তরফ থেকে ১৪ দফা দাবি সম্বলিত একটি দাবিপত্র বিডিওর হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির তরফ থেকে দাবি জানানো হয়েছে,সকল কৃষককে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির টোকেন দিতে হবে । টোকেন নিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে । সরকারি সহায়ক মূল্য ২৫৫০ টাকা করতে হবে । প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও করোনা পরিস্থিতির কারনে কৃষিঋণ মকুব করতে হবে । কৃষকদের সাবমার্সিবল পাম্পের সমস্ত বকেয়া বিলের এলপিএসসি মকুব করতে হবে । বিনা নোটিশের কৃষিকাজে ব্যাবহৃত সাবমার্সিবল পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন করা চলবে না । যে সমস্ত সাবমার্সিবল পাম্পের বিল বকেয়া থাকার কারনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সেগুলি পুনরায় সংযোগ দিতে হবে । মিটারের ভুতুড়ে বিল বাতিল করতে হবে । কৃষি কাজের জন্য বিনা খরচে বিদ্যুৎ ব্যাবহারের সুযোগ দিতে হবে । সমস্ত অজেকো মিটার পাল্টিয়ে নতুন মিটার দিতে হবে বলে সংগঠনের তরফ থেকে দাবি জানানো হয় ।
কৃষি ও কৃষক বাঁচাও কমিটির জেলা সম্পাদক অনিরুদ্ধ কুন্ডু বলেন, ‘দীর্ঘ লকডাউন পর্ব,তার উপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে কৃষকরা খুবই কষ্টে আছেন । ফসলের ঠিকমত দাম না পাওয়ায় সাবমার্সিবল পাম্পের বিদ্যুৎ বিল দেওয়া তো দুরের কথা ঠিকমত সংসার চালাতে পারছেন না । তাই আমাদের তরফ থেকে ১৪ দফা দাবিতে ব্লক প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছি । দাবি পূরণ না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামাতে বাধ্য হব ।’।