এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২৪ মে : পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কোনো ঘটনা নয় । রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী মঙ্গলকোটের বিধায়ক থাকাকালীন অনুব্রত মন্ডল-সিদ্দিকুল্লা গোষ্ঠীর সংঘাত চলে আসছিল । কিন্তু বিধায়ক পরিবর্তন হওয়া এবং অনুব্রতর জেলে যাওয়ার পরেও মঙ্গলকোটে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লাগাম পড়েনি । মঙ্গলকোটের বর্তমান বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী । বর্তমানে বিধায়ক গোষ্ঠীর সঙ্গে মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্ত সরকার গোষ্ঠীর সংঘাত চলছে । আর এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল মঙ্গলকোটের নতুনহাটে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়ের দখল ঘিরে ।
জানা গেছে,২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর নতুনহাটে মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালের কাছে বাদশাহী রোডের ধারে ওই কার্যালয়ের নির্মান করা হয়েছিল । তখন থেকেই শান্ত সরকার গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ওই কার্যালয়টি । বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘাত চলে আসছে।
আজ শুক্রবার সকালে বিধায়ক অনুগামী তথা মঙ্গলকোট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রহিম মল্লিক দলবল পাকিয়ে কার্যালয়টির দখল নিতে আসেন । তখন শান্ত সরকার অনুগামী শ্রমিক সংগঠনের মঙ্গলকোট ব্লক সভাপতি শেখ লাল্টুসহ দুই তিনজন তৃণমূল কর্মী প্রতিদিনের মতন দলীয় কার্যালয় খুলতে গিয়েছিল । কার্যালয় কোন গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নিয়ে রহিম মল্লিক ও শেখ লাল্টুর মধ্যে বচসা বাধে । তারপর শান্ত সরকারের অনুগামীদের চড়থাপ্পর মেরে রহিম মল্লিকরা তাদের বের করে দিয়ে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী । শেষে পুলিশের মধ্যস্থতায় সিদ্ধান্ত হয় যে আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা বন্ধ অবস্থাতেই থাকবে নতুনহাটে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়টি ।
শান্ত সরকার বলেছেন,’আমার পারিবারিক জমির উপরেই ওই কার্যালয় নির্মাণ করিয়েছিলাম । এখনও আমাদের নামেই জমির রেকর্ডও রয়েছে । অথচ আজ বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর নির্দেশে পার্টি অফিসের দখল নিয়ে বলেছে যে আমাদের লোকজনদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না ।’ অন্যদিকে অপূর্ব চৌধুরীর কথায়,’ওটা দলের পার্টি অফিস,কারও ব্যক্তিগত নয়। ওখানে সব কর্মীরাই যাবেন,ওঠাবসা করবেন। এতে কারোর আপত্তি থাকার কথা নয় ।’ তিনি মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন,’কেউ কারোর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি । মিথ্যা অভিযোগ তুলে দলের মধ্যে অযথা বিভাজনের সৃষ্টি করার করা হচ্ছে ।’।