এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,২৯ আগস্ট : নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়ে গেছে মালদার বিস্তীর্ণ এলাকা । কয়েক হাজার পরিবার অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে । এই পরিস্থিতিতে বন্যাত্রাণের খরচের রেজোলিউশন তৈরির জন্য বৃহস্পতিবার বিজেপি শাসিত মালদার মানিকচকের ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে একটা বৈঠক ডাকা হয়েছিল । আর সেই বৈঠকেই ঘটে গেল ধুন্ধুমার কান্ড ! উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝে হাতাহাতিতে জড়ালেন পঞ্চায়েতের সদস্য ও সদস্যারা । এতে আহত হয়েছেন দুই মহিলা সদস্যা । তাদের কারোর মাথায় আঘাত লেগেছে,তো কারোর কানে । দুই সদস্যাই এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
উল্লেখ্য, এবছর মানিকচকের ভূতনীর দক্ষিণ চন্ডীপুরে বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । গোটা ভূতনী এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত । বহু পরিবারের আশ্রয় কেন্দ্রে জীবন কাটছে । যেকারণে দক্ষিণ চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ‘বন্যাত্রাণ, নৌকার ভাড়া সহ বিভিন্ন খাতে মোট ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে । বরাদ্দ অর্থের খরচখরিচার হিসাব ব্লক প্রশাসনকে দিতে হবে । তাই বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান রেজোলিউশন তৈরির জন্য বৈঠক ডেকেছিলেন । পঞ্চায়েতের সমস্ত সদস্য ও সদস্যারা বৈঠকে উপস্থিত হন । কিন্তু রেজোলিউশন নিয়ে মতভেদের কারনে তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতিতে গড়ায় । দুই মহিলা সদস্যাও নিজেদের মধ্যে মারপিট শুরু করে দেন । তাতে একজনের কান ছিঁড়ে যায় এবং অন্যজন কপালে আঘাত পান ।
এদিকে এই ঘটনায় বিজেপিকে নিশানা করেছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র । তার কথায়, বন্যাত্রাণের টাকা ভাগাভাগি নিয়েই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । অন্যদিকে দক্ষিণ মালদার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডল বলেছেন,’ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে । আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলবো ৷’।

