এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৬ মে : বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তর গুন্ডাবাহিনীর হামলা । সন্ধ্যায় পুলিশ-বাহিনীর লাঠিচার্জ । কারও ভেঙেছে পা, কারওর আবার মাথা ফেটেছে । আহত হয়েছেন দুই ডজনেরও অধিক চাকরিহারা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী । তারপরেও আজ শুক্রবার সকাল থেকে আন্দোলনে বসে চাকরিহারারা । পুলিশের ‘নির্যাতন’-এর প্রতিবাদে ধিক্কার সভার আয়োজন করা হয় কলকাতার সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে । গতকাল সাংবাদিকদের চাকরিহারা বিক্ষোভকারী সুমন বিশ্বাস জানান যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আসার জন্য সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন । তাদের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে আজ সন্ধ্যায় আন্দোলনস্থলে উপস্থিতও হন বিরোধী দলনেতা । তিনি রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিলেও তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘মিটিং আর আন্দোলন এক সাথে হতে পারে না ।’
অর্থাৎ, শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই স্পষ্ট যে চাকরিহারাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে এবং রাজনৈতিক দলাদলিতে তারা দ্বিধাবিভক্ত । আর সেই চিত্র ফুটে উঠেছে শুভেন্দু অধিকারীকে মঞ্চের পাশে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে একের পর এক বক্তার বক্তব্য পেশের মধ্য দিয়ে । যদিও তাদের সবার বক্তব্য মন দিয়ে শোনেন বিরোধী দলনেতা । কিন্তু চাকরিহারাদের আন্দোলনে কোথাও যেন দ্বিধাবিভক্তের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে । সেই দ্বিধাবিভক্তের চিত্র দেখে শুভেন্দু বলেছেন,’আজকে যদি আপনারা সঙ্ঘবদ্ধ থাকেন, আপনাদের মধ্যে যদি ক্ষুদ্র সংকীর্ণতা রাজনৈতিক দলাদলি প্রবেশ না করে, আমার বিশ্বাস আপনারা জিতবেন ।’
তবে শুভেন্দু অধিকারী এটাও জানিয়েছেন যে চাকরিহারাদের স্বার্থে জুন মাসে শুরু হতে চলা বিধানসভার অধিবেশন বিজেপি হতে দেবে না । তাতে তাকে ফের সাসপেন্ড করা হলেও তিনি পিছবেন না । পাশাপাশি তিনি এটাও আশ্বাস দিয়েছেন যে আন্দোলনকারীদের বায়ো টয়লেট, লজিস্টিক সাপোর্টসহ যাবতীয় ব্যবস্থা দলের পক্ষ থেকে তিনি করে দেবেন । এমনকি শাসক দল এবং পুলিশের হামলা প্রতিরোধ করার জন্য তার দলের কর্মীরা আন্দোলকারীদের সামনে এসে দাঁড়াবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন । এছাড়া, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে এক রাত্রিযাপন করবেন বলেও জানান শুভেন্দু অধিকারী । এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিকাশ ভবনে দেখা যায় সজল ঘোষ, কৌস্তুভ বাগচি, দিনেশ কানোড়িয়া ও শঙ্কুদেব পন্ডার মত বিজেপির নেতাদের ।।

