এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,২৮ জুন : বিজেপি করার অপরাধে একজন মুসলিম মহিলার সঙ্গে মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালানো হয়েছে কোচবিহারে । পেশায় খেতমজুর ওই মহিলাকে মারধরের পর নগ্ন করে চুল ধরে প্রায় এক কিলোমিটার পর টেনেহেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমুলের মহিলা গুন্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে । বিজেপি নেতা অমিত ঠাকুর জাতীয় মহিলা কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন,’হ্যালো এনসিডব্লিউ ইন্ডিয়া, রেখা শর্মাজি, বিজেপিকে সমর্থন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা বিধানসভার রামথেঙ্গা বাজারে একজন মুসলিম মহিলাকে অপহরণ এবং মারধর করা হয়েছিল। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্য রোসোনারা খাতুনকে তার চুল টেনে নিয়ে গিয়ে গুরুতর শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল৷ এই নৃশংস ঘটনাটি মুসলিম সম্প্রদায়কে হতবাক করেছে৷ বর্তমানে, তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন৷’ জানা গেছে, এই ঘটনায় আক্রান্ত মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে । তবে পুলিশ প্রথমে এফ আই আর নিতে চায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি ।
ঘটনার বিবরণে আক্রান্ত মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন ,ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার । তিনি সকালে যথারীতি মাঠে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। সেসময় তৃণমূলের মহিলা কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর শুরু করে । তাঁর শাড়ি খুলে নদীতে ফেলে দিয়ে চুল ধরে টানতে টানতে প্রায় এক কিলোমিটার পথ নিয়ে যায় । মহিলা অচেতন হয়ে পড়লে তাকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা । জেলা বিজেপির অভিযোগ,স্থানীয় থানায় ঘটনার কথা জানানো হলেও পুলিশ প্রথমে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি । পরে ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ অভিযোগ নেয় ।
বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি ইনচার্জ অমিত মালব্য টুইট করেছেন,’বিজেপিকে সমর্থন করায় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে এক মুসলিম মহিলাকে অপহরণ করে মারধর করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা বিধানসভার রামথেঙ্গা বাজারে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সদস্য রোসোনারা খাতুনকে তার চুল ধরে টেনে হিঁচড়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয় ।এই নৃশংস ঘটনা মুসলিম সম্প্রদায়কে মর্মাহত করেছে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে তিনি আতঙ্কে ছিলেন এবং বাড়ি থেকে বের হতেন না । বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।বাংলার প্রতিটি গ্রামে একটি করে সন্দেশখালী আছে। এ ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিচারের দাবি উঠেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনে রাজনৈতিক সহিংসতা এবং মহিলাদের নিরাপত্তা একটি বিশাল উদ্বেগের বিষয়।’।