এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা,১৩ এপ্রিল : ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরোধিতার নামে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সম্প্রদায়কে উসকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে ৷ বিজেপির অভিযোগ যে সম্প্রতি কলকাতার রামলীলা ময়দানে জামায়েত উলেমা হিন্দের রাজ্যের প্রধান ও তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী গোটা রাজ্যকে স্তব্ধ করার যে হুমকি দিয়েছিলেন তাতে মমতা ব্যানার্জি প্রচ্ছন্ন মদদ ছিল । মুর্শিদাবাদ জেলার ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জে অকপ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে অত্যাচার চলছে তার জন্য মমতা ব্যানার্জির উস্কানিকে দায়ী করছে বিজেপি৷ মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল কংগ্রেসের আর এক সাংসদের মুখেও উস্কানিমূলক কথা শুনতে পাওয়া গেল চব্বিশ পরগণা জেলার মথুরাপুরের তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার হুমকি দিয়েছেন যে ওয়াকফ সম্পত্তির দিকে তাকাবে তার চোখ উপড়ে ফেলা হবে এবং হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে ।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এবং প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার মথুরাপুরের লালপুরে সভা ছিল তৃণমূলের । সেই সভায় মুখ্য বক্তা ছিলেন সাংসদ বাপি হালদার । প্রকাশ্য মঞ্চে তাকে হুমকি দিয়ে বলতে শোনা যায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি আছেন৷ আপনাদের বাবা-দাদাদের কবরস্থান রক্ষা করার দায়িত্ব যেমন আপনাদের,তেমনি আমাদের সকলের । ওয়াকফ সম্পত্তি কারোর বাপের সম্পত্তি নয়৷ ওয়াকফ সম্পত্তি একটা সম্প্রদায়ের সম্পত্তি৷ সেই সম্প্রদায়ের সম্পত্তির দিকে যদি কেউ চোখ তুলে তাকায় তার চোখ উপড়ে নেবেন হাত-পা ভেঙে দেবেন,একথা নিশ্চিত ভাবে আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি ।’
এদিকে তার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি ৷ স্থানীয় বিজেপি নেতা অরুনাভ দাস বলেন, ‘একজন দায়িত্বশীল সংসদ হিসেবে ওনার উচিত ওয়াকফ সংশোধনী আইন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা । তার পরিবর্তে উনি যে উস্কানিমূলক কথা বলছেন তাতে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে । একজন দায়িত্ববান সাংসদ হিসেবে এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত হয়নি ।’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার ২০ নম্বর মথুরাপুর লোকসভা আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত । এর সাতটি বিধানসভা এলাকা হল : পাথরপ্রতিমা,কাকদ্বীপ,সাগর,কুলপি,রায়দিঘি, মন্দিরবাজার ও মগরাহাট পশ্চিম । ২০১৯ সালে এই আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হন চৌধুরী মোহন জাটুয়া । ২০২৪ সালে বাপি হালদারকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল এবং তিনি বিজয়ী হন ।।

