এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৯ আগস্ট : আরজি করের তরুনী চিকিৎসক ‘অভয়া’র ধর্ষণ বা গনধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় এক বছর পূর্তিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মৃতার বাবা-মা । দলের পতাকা ছাড়াই এদিন সেই অভিযানে সামিল হন শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপির নেতাকর্মীরা । কিন্তু এই অভিযানে কলকাতা পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করলে ‘অভয়া’র মা-বাবা’সহ বহু আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন । ‘অভয়া’র মাকে একটা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । রেবেকা মোল্লা নামে এক আন্দোলনকারীর হাত ভেঙেছে । একথা জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজেই তার হাতে ব্যান্ডেজ করে দেন এবং তার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন । পুলিশের এই প্রকার হিংসাত্মক আচরণে চরম ক্ষিপ্ত হয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার (সিপি) মনোজ ভার্মাকে “শুয়রের বাচ্ছা” বলেন । পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বললেন “লেডি কিম” ও “পুতনা রাক্ষসী” ।
এদিন দুপুরে ধর্মতলা থেকে যে মিছিলটি নবান্নের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, সেই মিছিলেই ছিলেন ‘অভয়া’র মা-বাবা । বেলা ১২টা নাগাদ মিছিল পার্কস্ট্রিট হয়ে নবান্নের উদ্দেশে রওনা দিলে পার্কস্ট্রিট মোড়ে বিশাল ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ । ফলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সেই সময় পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করলে ‘অভয়া’র মা আহত হন । শুভেন্দু অধিকারী জানান অন্তত ১০০ জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছে । হ্যান্ড মাইক নিয়ে তিনি সিপিকে নিশানা করে বলেন, ‘ওই শুয়রের বাচ্ছা মনোজ ভার্মার যা করার তাই করব ।’
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন,পুলিশ তুমি যতই মারো,মাইনে তোমার এক’শ বারো,মমতার নির্দেশে করছো লাঠিচার্জ,২০২৬ শে ফুরিয়ে যাবে তোলামূল সরকারের রিচার্জ !বাদ পড়লেন না বোন অভয়ার মা ও বাবা। অভয়ার মায়ের মাথায় লাঠি মেরেছে মমতা পুলিশ। গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী জনগণের ওপর যেভাবে আজ মমতা পুলিশ অত্যাচার করলো, এর জবাব জনগণ ফিরিয়ে দেবে। আর এই স্বৈরাচারী মমতা সরকারের চটি চাটা পুলিশ, পশ্চিমবঙ্গ কে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাবার অপচেষ্টায় পুরোপুরি সামিল, কারণ এরা জনগণ কে লাঠি পেটা করে হাত থেকে জাতীয় পতাকা ছিনিয়ে নিয়ে তা মাটিতে ফেলে পদদলিত করেছে।ধিক্কার জানাই এই সরকার আর এই দলদাস পুলিশ কে৷’ তিনি ‘বাংলা লড়বে বাংলা জিতবে’ এবং ‘বাংলা বনাম মমতা’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন ।।