এইদিন ওয়েবডেস্ক,পাটনা,২০ ফেব্রুয়ারী : রবিবার বিহারের রাজধানী পাটনার নদী (Nadi) থানা এলাকার জেঠুলী গ্রামে পার্কিং বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । সংঘর্ষ, এলোপাথাড়ি গোলাগুলির পাশাপাশি অগ্নিসংযোগও হয় । ৫ জনের শরীরে গুলি লেগেছে বলে খবর । তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের । তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধী । নিহতদের নাম গৌতম কুমার ও রওশন কুমার বলে জানা গেছে । এদিকে এই ঘটনার পর ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত উমেশ রায়ের বাড়িতে ব্যাপক পাথরবাজি করে । উমেশ রায়ের বাড়ি, কমিউনিটি হল, আইটিআই সেন্টার ও গোডাউনেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । এমনকি গ্রামবাসীরা উমেশ রাইয়ের অর্ধ ডজনেরও বেশি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় । পরে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষিপ্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় । পাশাপাশি দমকলের কয়েকটি ইঞ্জিন গিয়ে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে । তবে তার আগেই ভস্মীভূত হয়ে যায় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,ব্যামশালার জমি নিয়ে উমেশ রায় এবং চন্দ্রিকা রাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল । বিরোধের জের রবিবার গাড়ি পার্কিং নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, রবিবার দুপুরে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রতিনিধি টুনটুন যাদব তার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি বের করতে গিয়ে দেখেন যে উমেশ রাই গাড়ি নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। টুনটুন যাদব চালককে গাড়ি সরাতে বললেই বিবাদ শুরু হয়। এর পরে বাচা রাই এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে । যাতে চানারিক রাই, মুনারিক রাই, রোশন কুমার, গৌতম কুমার এবং নগেন্দ্র রাই গুলিবিদ্ধ হন । চন্দ্রিকা রায়ের আত্মীয় গৌতম কুমার ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান । গুরুতর আহত রোশন কুমার পিএমসিএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আহত অন্য তিনজন নগেন্দ্র রাই, চানারিক রাই ও মুনারিক রাই পিএমসিএইচে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় গ্রামে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে । ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে । সংঘর্ষের সময় প্রায় ৪৩ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে ।।