এইদিন ওয়েবডেস্ক,মালদা,১৯ আগস্ট : দিন চারেক আগে গঙ্গা নদীর বাঁধে ভাঙনে প্লাবিত হয়েছিল মালদা জেলার রতুয়া-১নং ব্লকের বিলাইমারি ও মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা । একাধিক গ্রাম জলের তলায় চলে যায় । তারপর আস্তে আস্তে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল । কিন্তু বন্যার জল সম্পূর্ণ নামতে না নামতেই ফের গঙ্গার পাড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে । আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে নদীর পাড়ের ব্যাপক ভাঙনে রীতিমতো দিশেহারা হয়ে পড়েন মহানন্দাটোলার মুলিরামটোলা ও জিতুটোলার বাসীন্দারা । আতঙ্কে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রাক্টরে চাপিয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা ৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বিঘা কৃষিজমি জলের তলায় চলে গেছে । বর্ষা শুরু হতেই মালদা জেলার রতুয়া,কালিয়াচক, ইংলিশবাজার প্রভৃতি এলাকাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ি করছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলি । এনিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । এখন দেখার বিষয় বিধানসভার ভোটের ঠিক মুখেই এলাকার মানুষের ক্ষোভ নিরসনে শাসকদল কি পদক্ষেপ নেয় ।
জানা গেছে,আজ সকালে গঙ্গার ভাঙনে প্রবল বেগে নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয় কৃষিজমি, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি । আগাম কোনো সতর্কতা না থাকায় গ্রামবাসীরা কোনো পূর্ব প্রস্তুতিও নিতে পারেনি । আগ্রাসী গঙ্গার ভয়াবহ রূপ দেখে মুলিরামটোলা ও জিতুটোলার বাসীন্দারা যে যা পেরেছে গৃহস্থালি জিনিসপত্র ট্রাক্ট্রর,মোটরভ্যানে চাপিয়ে নিরাপদ জায়গায় যেতে শুরু করে ৷
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাদের এলাকায় বহু বছর ধরে গঙ্গা ভাঙনের সমস্যা জিইয়ে রেখে দেওয়া হচ্ছে । ফলে প্রতিবছর ভুগতে দরিদ্র পরিবারগুলিকে । এবছর বর্ষার শুরু থেকেই নদীর ভাঙন আরও ব্যাপক আকারে চলছে । গঙ্গার জলন্তর নামতেই ফের ভাঙন শুরু হয়েছে । তাদের আশঙ্কা, যেভাবে ভাঙন চলছে তাতে কয়েক দিনের মধ্যেই গোটা গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। একমাত্র ব্যাপক আকারে নদীবাঁধের নির্মানই ভাঙন রোধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা । কিন্তু এই বিষয়ে সরকারের কোনো হেলদোল নেই বলে অভিযোগ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসীরা ।।

