এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,২৪ জানুয়ারী : পাকিস্তান ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু মহিলাদের অপহরণ, ধর্ষণ,জোর করে ও লাভ জিহাদের ফাঁদে ফেলে ধর্মান্তরিত করা স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে গেছে । ফের এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে কট্টর মৌলবাদী দেশ পাকিস্তানে । পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধু প্রদেশের এক বিবাহিত হিন্দু মহিলা মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করায় তাঁকে অপহরণ করে ৩ দিন আটকে রেখে গনধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । বিজেপি নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা নির্যাতিতা মহিলার ভিডিও টুইট করে লিখেছেন, ‘সামারো শহরে হিন্দু মহিলাকে অপহরণ করে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর এমন নৃশংসতার ঘটনা থামার নামই নিচ্ছে না, তারপরও পাকিস্তান সরকার চুপ করে বসে আছে ।’
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সিন্ধু প্রদেশের উমেরকোট জেলার সামারো শহরের একটি ঘরে মহিলাকে ৩ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল । নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, ইব্রাহিম মাংরিও, পুনহো মাংরিও ও তাদের সহযোগীরা মিলে তাঁকে অপহরণ করে । লোকেরা তাকে ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ দিচ্ছিল। । কিন্তু তিনি ধর্মান্তরিত হতে অস্বীকার করলে ওই সমস্ত ব্যক্তিরা তাঁকে তিন দিন ধরে আটকে রেখে গনধর্ষণ করে । পরে ধর্ষকদের খপ্পর থেকে তিনি কোনো রকমে পালিয়ে আসেন ।
রিপোর্ট অনুযায়ী,বাড়ি ফেরার পর পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে মিরপুখাস থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যান নির্যাতিতা মহিলা । কিন্তু রবিবার পর্যন্ত থানায় ধর্ণা দিয়েও পুলিশ কোনো অভিযোগ নেয়নি । ফলে এদিন মঙ্গলবার পর্যন্ত ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রজু হয়নি । অভিযোগ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শাসনযন্ত্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৌলবাদ ঢুকে যাওয়ার কারনে দুই দেশের সংখ্যালঘু সসম্প্রদায়ের মানুষকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতে হয় । যার ফলে সংখ্যালঘুদের কেউ ধর্ষিতা বা খুন হলে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের অপরাধীরা সহজেই রেহাই পেয়ে যায় ।।