এইদিন ওয়েবডেস্ক,নদীয়া,১৭ জুলাই : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাস । মন্দিরে আনুষ্ঠানিক বিয়ের পর আদালতে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ । কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরেও মারধর করে বধূকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ । দাদা সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ায় সেই প্রভাব খাটিয়ে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগও উঠছে । অবশেষে সোমা দাস পাল নামে ওই নিরুপায় বধূ স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নদীয়া জেলার শান্তিপুর বেলঘড়িয়া-২ পঞ্চায়েতের খাপড়া ডাঙা এলাকায় স্বামী সঞ্জয় দাসের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেন । আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ ।
জানা গেছে,শান্তিপুর থানার কুন্ডুপাড়ায় বাড়ি সোমা দাস পালের । তার আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল । একটি ১৩ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে মহিলার । তবে প্রথমপক্ষের স্বামীর সাথে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে । মহিলার অভিযোগ যে তার বিবাহবিচ্ছেদের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে একই এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় দাস । একাধিকবার তার সঙ্গে সহবাস করেছে সঞ্জয় । এরপর বছর খানেক আগে তাকে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে । পরে আদালতে রেজিস্ট্রি ম্যারেজও করেন তারা । এমনকি তার পুত্র সন্তানকেও মেনে নেয় সঞ্জয় ।
সোমাদেবীর অভিযোগ,বিয়ের পর সন্তানসহ তাকে শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে আসে স্বামী সঞ্জয় । কিন্তু তার ভাসুর সিভিক ভলান্টিয়ার সুজয় দাসসহ পরিবারের বাকি লোকজন তারা তাকে মেনে নেয়নি । তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে কিছু লোকজন জড়ো করে শেষে মারধর করে বের করে দেওয়া হয় । সিভিক ভলেন্টিয়ার দাদা তাকে মামলা-মোকদ্দমার ভয়ও দেখায় । তিনি শান্তিপুর থানায় এনিয়ে একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন । কিন্তু বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ওই মহিলার।
মহিলা বলেন, স্থানীয় বিজেপি নেতা অজয় দাস আমার শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কে আত্মীয় হন । আমি তাকেও বিষয়টা বলেছি । কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি । তাই আজ বাধ্য হয়ে শশুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছি ।’ এদিন সাথে করে ম্যারেজ সার্টিফিকেট সহ বিয়ের যাবতীয় প্রমাণ সঙ্গে করে নিয়ে আসেন ওই মহিলা । যদিও মহিলার স্বামী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার ভাসুরকে এদিন বাড়িতে দেখা যায়নি । পরিবারের বাকি সদস্যরাও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি । তবে শান্তিপুর থানার পুলিশ মহিলাকে আশ্বস্ত করেছে যে উপযুক্ত প্রমাণ দেখালে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে । স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান বর্ণালী বর্মন বলেন, ‘বিয়ে করার পর একজন মহিলাকে স্বীকৃতি না দেওয়াটা উচিত নয় । বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের যা করনীয় তাই করবে ।’।

