সেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৪ জুন : পিসতুতো দাদার সঙ্গে বিয়ে মোটামুটি স্থির হয়ে গিয়েছিল । তারপর থেকে হবু শ্বশুরবাড়িতে যাতায়ত শুরু করেন বছর কুড়ির তরুনী । কিন্তু সেই হবু শ্বশুরবাড়ি বা নিজের পিসির বাড়িতেই তরুনীর যে এমন মর্মান্তিক পরিনতি হবে তা কেউ কল্পনা করতে পারেনি । পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ঝাড়ুল গ্রামে তরুনীর পিসির বাড়ি থেকে শুক্রবার রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম তাজমিরা খাতুন । প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও মৃতার বাবা আলকাস মণ্ডলের সন্দেহ তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেনি । এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে । তবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত এনিয়ে তিনি থানায় নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।
জানা গেছে,ঝারুল গ্রামে বাড়ি আলকাস মন্ডলের । একই গ্রামে বসবাস করেন আলকাসের দিদি । দিদির ছেলে অর্থাৎ ভাগনের সঙ্গে নিজের মেয়ে তাজমিরার বিয়ে ঠিক করেছিলেন আলকাস । তাঁর হবু জামাই কর্মসুত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন । আলকাস মন্ডল জানিয়েছেন,বরপনের লেনদেনও প্রায় হয়ে গিয়েছিল । মাস খানেকের মধ্যে ভাগনা আসার কথা । তখনই বিয়ের দিন নির্ধারিত করা হয়েছিল । আর তার আগেই মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল ।
পরিবার সুত্রে জানা গেছে,বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর হবু শ্বশুরবাড়ি বা পিসির বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন তাজমিরা খাতুন । শুক্রবারও গিয়েছিলেন । কিন্তু রাতের দিকে সেখানে একটি ঘরে ওই তরুনীকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখা যায় । মৃতার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি, ঘরটি ভিতর থেকে খিল দেওয়া ছিল । দরজা ভেঙে তরুনীর দেহ উদ্ধার হয় । পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।।