এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,১১ অক্টোবর : এবারে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য বহু চেষ্টা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । বিশ্বে চলমান ৬-৭ টা যুদ্ধ বন্ধের দাবি করে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেতে তিনি নিজের ঢাক নিজেই পিটিয়েছিলেন । কিন্তু বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি । পরিবর্তে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব ও অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে দেশটির বিরোধী রাজনীতিবিদ মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে । নোবেল কমিটি শুক্রবার (১০ অক্টোবর) এই ঘোষণা করে। এদিকে মাচাদোর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পকে নিয়ে মজাদার মিমস ব্যাপক ভাইরাল হতে থাকে । তবে কিছুটা হলেও ট্রাম্পের দুঃখ দূর করে দিয়েছেন মারিয়া কোরিনা মাচাদো ।
পুরস্কার প্রাপ্তির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)–এ দেওয়া এক বার্তায় মাচাদো লেখেন, ‘আমি এই পুরস্কারটি উৎসর্গ করছি ভেনেজুয়েলার যন্ত্রণাক্লিষ্ট জনগণের উদ্দেশে, যারা স্বাধীনতা ও ন্যায়ের জন্য সংগ্রাম করে চলেছেন। একই সঙ্গে উৎসর্গ করছি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে, যিনি আমাদের আন্দোলনে দৃঢ়ভাবে পাশে ছিলেন।’ মাচাদো আরও বলেন,ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অবস্থান ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে শক্তি দিয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েই ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। মাদুরোর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার দাবি তোলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার গ্রেফতারের তথ্যদাতাকে ৫০ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও করে । এ ছাড়া আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেনেজুয়েলার নৌযানের ওপর হামলা চালিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন সেগুলোকে ‘মাদকপাচারকারী সন্ত্রাসী’ হিসেবে অভিহিত করে।
তবে এসব অভিযোগ মাদুরো সরকার দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে ‘রাজনৈতিক আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
তবে মাচাদোর নোবেল জয়কে কেন্দ্র করে ভেনেজুয়েলায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো এটিকে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ের স্বীকৃতি’ হিসেবে দেখলেও মাদুরোপন্থি নেতারা একে ‘বিদেশি প্রভাবিত রাজনীতি’ বলে সমালোচনা করেছেন।।

