এইদিন ওয়েবডেস্ক,মনিপুর,১৮ নভেম্বর : ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাসের মত মহিলা ও শিশুদের নাশকতার জন্য তৈরি করছে মনিপুরের খ্রিস্টান কুকি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন । মণিপুরে সহিংসতা ছড়ানোর জন্য বিস্তৃত ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। গাজায় যেমন হামাস সন্ত্রাসীরা শিশুদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে এবং প্রয়োজনে নাশকতার কাজে লাগায়, ঠিক তেমনি একই কায়দায় মনিপুরী খ্রিস্টান শিশুদের ব্যবহার করছে কুকিরা । ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কায়দায় দেশ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শৈশব অবস্থা থেকেই খ্রিস্টান শিশুদের মনে ঘৃণার বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে । শুধু তাইই নয়, কুকি সন্ত্রাসীরা সামরিক বাহিনীকে আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখার জন্য শিশুদেরকে মানব ঢাল হিসেবে এগিয়ে দিচ্ছে—যেমন ইসলামি জঙ্গিরা এই ধরনের পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুদের ব্যবহার করে ।
কুকি সন্ত্রাসী সংগঠন একটি মহিলা ব্রিগেড তৈরি করেছে । তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে৷ বাইরে থেকে যারা মণিপুরে কাজের জন্য আসছে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের পরিকল্পনাও করেছে তারা । কুকি সংস্থাগুলি এমনকি তাদের নিজস্ব ড্রোন সিস্টেম তৈরি করেছে। একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে, মণিপুরের কাংলিপাক ন্যাশনাল পার্টি (কেএনপি), কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এবং ইউনাইটেড পিপল পার্টি অফ কাংলিপাক (ইউপিপিকে) মণিপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় সহিংসতা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের জন্য বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছে । এই সংগঠনগুলো নেপাল ও বিহার থেকে মণিপুরে আসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১ থেকে ১.৫ লাখ টাকা আদায়ের ষড়যন্ত্র করেছে। এ ছাড়া তারা নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা নিয়েও গুপ্তচরবৃত্তি করছে। এই সংস্থাগুলি কেসিপি এবং কেএনএফ কাদাতান এবং চিখং-এ নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গোয়েন্দাগিরি করার জন্য একটি ড্রোন সিস্টেম স্থাপন করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর উপর গুপ্তচরবৃত্তি এবং জনগণের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ছাড়াও হামলার নতুন কৌশলও তৈরি করেছিল এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। কুকি সংগঠনগুলো তাদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাত বাঁধার জন্য নারী ও শিশু ব্রিগেড গঠন করেছে । এসব সংগঠন নারী ও শিশুদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এই কাজের জন্য এই মহিলাদের ৪৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে । কুকি সংস্থাগুলি পরিকল্পনা হল যে মহিলারা যদি নিরাপত্তা বাহিনীর উপর আক্রমণ করে তবে তারা পালটা জবাবে হতাহত হলে ভিকটিম কার্ডও খেলা যাবে।
অতীতেও এমনটি দেখা গেছে। অনেকবার নিরাপত্তা বাহিনীর পথ আটকে দিয়েছে নারীরা। গত ৩০ শে এপ্রিল,ভারতীয় সেনাবাহিনী নিজের সাথে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে যাচ্ছিল, যেগুলি তারা বিষ্ণুপুরে কিছু যানবাহন থেকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। কিন্তু এরই মধ্যে একদল নারী পথমধ্যে এসে কনভয় থামিয়ে ১১ জন আতঙ্কবাদীকে মুক্ত করতে সক্ষম হয় । গত কয়েকদিনে মণিপুরের পরিস্থিতি আবার খারাপ হয়েছে। ছয়টি মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ার পর এই সহিংসতা শুরু হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর রবিবার মণিপুরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়। ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে অনেক জায়গায়। অনেক বিজেপি বিধায়কের বাড়িও টার্গেট করা হয়েছে। মণিপুর সরকারের অধীনে কর্মরত হিরোজিত নামে এক মেইতি হিন্দুর দুই ছেলে, শাশুড়ি স্ত্রী,শালিকা ও শালিকার সন্তানও কুকি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে। কুকি সন্ত্রাসবাদীরা সিআরপিএফ-এর সাথে এনকাউন্টারের সময় এই নাশকতা চালায় । ফেরার সময় তারা এই ৬ জনকে অপহরণ করে পরে হত্যা করে। এর আগে, সিআরপিএফ-এর সাথে এনকাউন্টারে ১১ খ্রিস্টান কুকি সন্ত্রাসবাদী খতম হয়েছিল।।