জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,মঙ্গলকোট,২১ অক্টোবর :
কয়েক ঘণ্টা পর কালীপুজো। রাতের অন্ধকার দূর করতে কোথাও জ্বলে উঠবে প্রদীপ, কোথাও বা মোমবাতি। এখন অবশ্য টুনি লাইটের দাপট বেশি। তার আগেই আনন্দে মেতে উঠল রাজা, দীপ, দেকুমার, শুভজিৎ, অভিজিৎ, আকাশরা। ওরা পশ্চিম মঙ্গলকোটের রামনগরের বাসিন্দা।
ওদের কেউ পঞ্চম কেউ বা সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ যখন মোবাইল ফোনে আসক্ত ওরা তখন মনের আনন্দে বাজনা বাজাচ্ছে। কালীপুজোর সময় পাড়ার ঠাকুর তলায় ওদের যে বাজাতে হবে । এরজন্য ওরা কোনো অর্থ পায়না, আনন্দটা ওদের প্রধান পাওনা। অতিরিক্ত হিসাবে জোটে মানুষের ভালবাসা।
পাড়ার নান্তু দাসের কাছে জানা গেলো,গত দু-তিন বছর ধরে দেখছি কালীপুজোর আগে থেকেই ওরা গ্রামের শ্মশানের কাছে রোজ রেওয়াজ করে। যদিও ওরা কার কাছ থেকে বাজাতে শিখেছে সেটা নান্তু বলতে পারল না।
প্রশ্ন করতেই লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেলো পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আকাশের। সে বলল,’ভাল লাগে তাই বাজাই । গ্রামের বাইরে বলে কারও অসুবিধা হয় না। এটুকু বলেই আবার সে নিজের কাজে মন দেয়।’।