এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২১ অক্টোবর : অগ্নিকান্ডে সর্বশান্ত হয়ে গেলো পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের বনকাপাসির এক শোলাশিল্পী পরিবার৷ শুধু বসতবাড়িই নয়,ভস্মীভূত হয়ে গেছে পারিবারিক শোলার কারখানাটিও ।অগ্নিদগ্ধ হয়েছে বাড়ির তিনটি গাভিও । যেখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য তৈরি করে রাখা যাবতীয় শোলার সাজ । সব মিলে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের সামগ্রী ভস্মীভূত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জটাই মাজি নামে ওই শোলাশিল্পি ।
শোলাশিল্পীদের গ্রাম বলে পরিচিত মঙ্গলকোটের বনকাপাসি গ্রাম । এই গ্রামের বাগদিপাড়ায় বসবাস জটাই মাজির । খড় ও অ্যাসবেসটস ছাউনি মাটির দোতলা বসতবাড়ি তার । সেখানেই স্ত্রী মল্লিকাদেবী ও দশম শ্রেণীর ছাত্র রমনকে নিয়ে তার ছোট্ট সংসার । সকলেই শোলার কাজের সঙ্গে বাড়ির মধ্যেই ছিল কারখানা । বসতবাড়ির গায়েই গোয়ালঘর । রয়েছে তিনটি গাভি । শোলার কাজ আর দুধ বিক্রি করে দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন জটাই মাজি । এখন ওই উপার্জনেই চলে সংসার ।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে । জটাই মাজির কারখানায় কাজ করতে আসা তিনজন শ্রমিক তখন কাজ সেরে বাড়ি চলে গিয়েছেন। মল্লিকাদেবী পাড়ার একটি পুজোমণ্ডপে গিয়েছিলেন। সেই সময় কোনওভাবে শোলার সাজে আগুন ধরে যায়। নিমেষের মধ্যে সেই আগুন গোটা বাড়ি ও পাশের গোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে । খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন আসে ঘটনাস্থলে । তবে তার আগেই সবকিছু পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় ।
জটাই মাজি বলেন,’ঘরের মধ্যে তিনটি জগদ্ধাত্রী প্রতিমার জন্য সাজগুলি বাণ্ডিল করে রাখা ছিল। প্রায় ২৫ হাজার টাকার শোলা ছিল । সব ভস্মীভূত হয়ে গেছে । ঘরের মধ্যে ব্যবসার পুঁজির টাকা, স্ত্রীর কিছু গহনা, যাবতীয় আসবাবপত্র সবকিছু পুড়ে গিয়েছে। এখন আমি সর্বশান্ত ।’
জানা গেছে, পরিবারের লোকজন দ্রুত তিন গাভিকে গোয়াল থেকে বের করতে সক্ষম হলে সেগুলি প্রাণে বেঁচে যায় । কিন্তু সবকিছু হারিয়ে কার্যত পথে বসেছে পরিবারটি । সোমবার মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে কিছু ত্রাণ সামগ্রী তুলে দিয়ে এসেছেন ।।