আমিরুল ইসলাম,মঙ্গলকোট,৩১ জুলাই : করোনা নিয়ে লাগাতার সচেতনতামূলক প্রচার করেও কাজ হচ্ছে না ৷ হুঁশ ফিরছে না সাধারন মানুষের একাংশের । পুলিশের নজর এড়িয়ে কেউ কেউ এখনও হাটেবাজারে বিনা মাস্কে অকারন ঘোরাঘুরি করছেন । তাই ওই সমস্ত নাগরিকদের সচেতন করতে এবার বিকল্প রাস্তা ধরল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পুলিশ । শনিবার পুলিশের একটি দল সিভিল ড্রেসে বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়ে আটক করল ১০ পথচারীকে । যদিও এদিন তাঁদের জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় । তবে ফের মাস্ক না পড়ে প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করলে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ তাঁদের শতর্ক করে দেয় বলে জানা গেছে ।
প্রসঙ্গত,যে কোনও ভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে মরিয়া রাজ্য সরকার । সম্প্রতি জেলা প্রশাসনগুলির কাছে নবান্ন থেকে একটি নির্দেশনামা এসেছে । তাতে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,সর্বদা মাস্ক ব্যাবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে । অভ্যন্তরীণ স্থানে সরকারি কর্মসূচি অনুমোদিত হতে পারে তবে সেক্ষেত্রে আসন ক্ষমতার ৫০% এর বেশি মানুষ থাকা চলবে না । যে কোনও কর্মস্থানে নিয়মিত স্যানিটাইজেশন করতে হবে । কর্মীদের ভ্যাসসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক । এছাড়া যতটা সম্ভব ঘরে বসেই কাজে(work from home) উৎসাহ দিতে হবে । এছাড়া রাত্রি ৯ টা থেকে সকাল ৫ টা পর্যন্ত বাইরে ঘোরাঘুরি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ । শুধুমাত্র চিকিৎসা,আইন ব্যাবস্থা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটা ও অনান্য জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে । এই সমস্ত বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইপিসির ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এক্ট (Disaster Management Act) ২০০৫ এর ভিত্তিতে মামলা রজু করা হবে । ৩১ জুলাই থেকে এই নিয়ম কার্যকর করার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
এদিকে করোনা বিধি মেনে চলা নিয়ে অনেক আগে থেকেই কড়াকড়ি শুরু করেছিল মঙ্গলকোট থানার পুলিশ । ইতিপূর্বে কয়েকজনকে বিধিভঙ্গকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল । সম্প্রতি নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে করোনা বিধি নিয়ে নতুন নির্দেশনামা আসার পর নজরদারি আরও কঠোর করা হয়েছে । এদিন মঙ্গলকোট থানার দুই এএসআই উত্তম সরকার ও কাকন কুন্ডুর নেতৃত্বে ৬ জনের একটি দল সিভিল ড্রেসে এলাকার বিভিন্ন বাজারে আচমকা হানা দেন । তাঁরা মাস্কবিহীন ১০ পথচারীকে আটক করে থানায় আনেন । শেষে জরিমানা করে তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ ।।