এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৫ আগস্ট : কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্ষ বিভাগের তরুনী চিকিৎসকের গনধর্ষণের পর নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় শিহরিত গোটা দেশ । পশ্চিমবঙ্গসহ দেশ জুড়ে চিকিৎসক,স্বাস্থ্যকর্মীসহ সাধারণ মানুষ মূল আসামীদের গ্রেফতারের পর অবিলম্বে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার দাবিতে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছে । পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকার,কলকাতা পুলিশ ও আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় তারা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন । এদিকে এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধী দলগুলি । ফলে বর্তমানে প্রচন্ড চাপে আছে রাজ্যের শাসকদল । বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার পরিবর্তনের মত পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন খোদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি । এই বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গেছে। ভেবেছে সেই ঘটনা টেনে এনে যদি ক্ষমতা দখল করতে পারে । শুনে রাখুন, আমার ক্ষমতার মায়া নেই ।আমি কোনোদিন ক্ষমতার মায়া করিনি। আমি যতদিন বাঁচবো, ততদিন কেবল মানুষের সেবা করেই বাঁচতে চাই।’ বুধবার বেহালায় প্রাক স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
তিনি আরও বলেন,’এই ন্যক্কারজনক, ঘৃণ্যতম ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে সিপিআইএম এবং বিজেপির কুচক্রীরা। তাই আগামী ১৬ অগস্ট, বিকেল ৪টে থেকে মৌলালি মোড় হতে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত অপরাধীর ফাঁসি দাবিতে এবং বিজেপি-সিপিআইএমের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদী মিছিলের আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি, ১৭ অগস্ট দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাংলার প্রত্যেক ব্লকে ও ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণ মিছিল এবং ১৮ অগস্ট, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলার প্রত্যেক ব্লকে ও ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণ ধরনা আয়োজিত হবে। আমরা কোনোভাবেই বাংলা মায়ের অসম্মান হতে দেবো না।’
পাশাপাশি যে কলকাতা পুলিশ ও রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠছে, তাদেরও দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছেন মমতা । তিনি মন্তব্য করেছেন,’রবিবারের মধ্যে মামলার কিনারা হোক। আমরা ফাঁসি চাই৷’ সেই সাথে বাম জমানায় অনিতা দেওয়ান গণধর্ষণ, বর্ণালি দত্ত ধর্ষণ, আনন্দমার্গী হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী । চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা,’আমি সকল ডাক্তার বন্ধুদের হৃদয় থেকে অনুরোধ করছি, সাধারণ মানুষ যেন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে।’।