এইদিন ওয়েবডেস্ক,কোচবিহার,১২ এপ্রিল : আজ শুক্রবার কোচবিহারের দুই প্রান্তে সভা করছে রাজ্যের দুই যুযুধান রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপি । কোচবিহারের দিনহাটায় সকালের দিকে সভা করে করেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা ব্যানার্জি । অন্যদিকে নাটাবাড়িতে বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে সভা করতে গেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । মমতা ব্যানার্জি তার সভাতে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে ‘কোচি হোম মিনিস্টার’ বলে কটাক্ষ করেছেন । অন্যদিকে নিশীথ প্রামাণিক ‘তৃণমূল নামক এই ভাইরাসকে, বাংলা থেকে মুক্ত করার’ ডাক দিয়েছেন ।
দিনহাটার সংহতি ময়দানে জনসভা থেকে নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, ‘তোমার প্রার্থী গুন্ডা। আমাদের বাসুনিয়া সাহেব নিপাট ভদ্র লোক। আর বিজেপি প্রার্থী দিয়েছে কাকে? দানব দস্যু। কত কেস আছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিএসএফ, পুলিশের একাংশ, আর চোরা কারবারিদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে বোমাবাজি করেন। শীতলকুচিতে পুলিশকে দিয়ে গুলি চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করেছিল। এর মদতে গরুপাচার, আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। তিনি যে কোচি হোম মিনিস্টার ।’ পাশাপাশি তিনি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘উদয়নকে বলব, বি কুল। ঠান্ডা মাথায় নির্বাচন করতে হবে। ও (নিশীথ প্রামাণিক) তোমাকে গণ্ডগোলে জড়িয়ে ভোট করিয়ে নেব। ভুলেও সেটা করতে দিও না। আগে থেকে নিজেকে তৈরি রাখো। শান্তি বজায় রাখো।’
পাল্টা মমতা ব্যানার্জিকে আক্রমণ করে নিশীথ প্রামাণিক বলেন,’বারবার মমতা ব্যানার্জি আমাদের কোচবিহারে এসে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন । আজও বহু উল্টোপাল্টা কথা বলেছেন তিনি । তাকে বলবো, আগে নিজের ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করুন । আপনিতো সমস্ত শক্তি দিয়ে নিজের ভাইপোকে প্রতিষ্টা করার চেষ্টা করেছেন । আগে বলতেন মমতা ব্যানার্জীর নাকি কোন পরিবার নেই, সমাজের মানুষকে নিয়েই নাকি ভাবেন । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দেখা গেল ভাইপো আর পরিবার ছাড়া মমতা ব্যানার্জি আর কাউকে দেখতে পান না ।’
তিনি বলেন,’মমতা ব্যানার্জির কাছে চপ শিল্প একটা শিল্প । আজ পর্যন্ত কোন শিল্পই করেননি মমতা ব্যানার্জি । ছোটবেলায় শুনেছিলাম বুড়িমার চকলেট বোম, আর এখন শোনা যায় পিসিমার হাত বোম । মমতা ব্যানার্জি বোমা,বন্দুক শিল্প করেছেন । দুষ্কৃতীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে রাজ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছেন । সন্দেশখালির ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, সন্দেশখালীর মায়েরা হাতে লাঠি তুলে নেওয়ার পর মমতা ব্যানার্জি সন্ত্রাসবাদী শেখ শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হলো।এখন সময় এসেছে তৃণমূল নামক এই ভাইরাসকে, বাংলা থেকে মুক্ত করার ।’
তিনি আরো বলেন,’দিনহাটায় আমার কন ভয়ে এর উপরে বারবার আক্রমণ হয়েছে । আসলে তৃণমূল যখন রাজনৈতিকভাবে পেরে উঠতে পারছে না তখন সন্ত্রাসের আশ্রয় নিচ্ছে, তাদের দাঁত নখ বেরিয়ে আসছে, তারা আক্রমণ করতে চাইছে । কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে যেমন চোর গুন্ডা বদমাশ আছে। আমার সঙ্গে তেমনি জনতা আছে।’।