এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঝাড়গ্রাম,০৬ আগস্ট : দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের দু’জন করে ৪ ইআরও (নির্বাচনী নিবন্ধন আধিকারিক) এবং এইআরওকে সাসপেন্ড করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন । শুধু তাইই নয়, অপরাধমূলক কার্যকলাপের’ জন্য তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এফআইআর করার নির্দেশও দিয়েছে । তাদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর পূর্বের দুই ইআরও দেবোত্তম দত্ত চৌধুরী এবং তথাগত মণ্ডল । পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের দুই ইআরও বিপ্লব সরকার ও সুদীপ্ত দাস। তাঁদের পাশাপাশি সুরজিৎ হালদার নামে এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে । কিন্তু আজ বুধবার ঝাড়গ্রামে সভামঞ্চ থেকে অভিযুক্ত ৪ রাজ্য সরকারের কর্মীকে অভয়বাণী দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ।
মমতার বার্তা, ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ওরা কিছু করতে পারবে না। ওরা তো বসন্তের কোকিল- দু’মাসের জন্য আসে, আবার উড়ে যায়। আপনাদের প্রটেক্ট করার দায়িত্ব আমাদের।’ পাশাপাশি তিনি সরকারি কর্মী, অফিসারদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘কর্মচারী থেকে অফিসার, সকলে নিশ্চিন্তে থাকবেন, আপনারা মানুষের কাজ করেন, তাই আপনাদের দেখা আমাদের কর্তব্য। তবে খেয়াল রাখবেন, যাতে কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না যায়।’ নির্বাচন কমিশনকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দালাল বলেও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভবানীপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, এর উত্তর নির্বাচন কমিশন দেবে । তিনি (মমতা ব্যানার্জি) সংবিধান মানেন না । গাজোয়ারি করে পশ্চিমবঙ্গটাকে রসাতলে পাঠিয়েছেন । রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী মুসলমানদের বাঁচানোর জন্য বাংলা এবং বাঙালির ড্রামা করছেন৷ ইনি নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তোলার সাথে সাথে সংবিধানের ৩২৪ থেকে ৩২৯ অনুচ্ছেদকেই আক্রমণ করছেন । নির্বাচন কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ নিক এটাই আমাদের দাবি৷’।